বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট সবাইকে ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, বাঙালি কখনো হারেনি, আত্মবিশ্বাস থাকলে এই সংকটেও হারবে না। তার সরকার সবকিছু দিয়ে জনগণের পাশে আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার বিকালে গণভবনে এক অনির্ধারিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। এদিন করোনার সংকট মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের সমপরিমাণ বেতনের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দান করা হয়। এছাড়া দেশের খ্যাতনামা কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের পক্ষ থেকেও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে করোনা সংকট মোকাবেলায় অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।

অতীতের বিভিন্ন মহামারির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, শত বছর পরপর এমন একটা মহামারি পৃথিবীতে আসে। অতীতে যেহেতু প্রযুক্তির ব্যবহার এত ছিল না, কাজেই কোন দেশে, কোন অঞ্চলে, কোথায় কী ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা জানার সুযোগ ছিল না। বর্তমানে বিশ্বটা গ্লোবাল ভিলেজ হয়ে গেছে, কোথাও একটা ঘটনা ঘটলে আমরা গণমাধ্যমের কারণে সব ঘটনাই জানতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, চীনের উহানে যখনই এই ঘটনা ঘটেছিল তখনই আমরা সেখান থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে এনেছি। তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। আমরা শুধু তাদের কোয়ারেন্টাইনে রেখেই ক্ষ্যান্ত হইনি, সাথে সাথে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন করা। এটা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, তা একটার পরে একটা নিয়ে নিয়েছি। বিশেষ করে আমরা দেশের মানুষকে সচেতন রাখতে চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আমাদের উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়। মানুষ যাতে আর্থিকভাবে কষ্টে না পড়ে সেই দিকটাও সচেতন থেকেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপ অন্তত পরিকল্পিতভাবেভাবে যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে সেটাই নিয়েছি। বলতে গেলে জানুয়ারি মাস থেকেই আমাদের পদক্ষেপগুলো চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা পর্যায় যখন এলো তখন আমরা সবাইকে ছুটি দিয়েছি। কিন্তু ছুটি মানে এই না সবাই কাজ ছেড়ে ঘরে বসে থাকবে। যার কাজ করতে পারবে, ঘরে বসেই কাজ করবে। কিন্তু মানুষের সাথে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ এটা মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু বিদেশিরা চলে আসছিল, যার ফলে প্রবাসীরা আসার ফলে এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিল। কোন কোন জায়গায় দেখা দিল তা আমরা সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নিয়েছি। এর বিস্তার ঠেকাতে আমরা সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। এবং সেটা অব্যাহত রাখছি। সকলকে বলবো ঘর থেকে বের হয়ে ঘুরে বেড়াবেন, এটাতো হয় না।