সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় খাদ্য সংকটে থাকা করোনা আক্রান্ত তিনটি পরিবারের মাঝে পুলিশ সুপারের খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান।শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) কতৃক প্রেরিত খাদ্য সামগ্রী দেবনগরে করোনা আক্রান্ত লক ডাউনে থাকা সেলিম ও মাছুম বিল্লাহর বাড়ি পৌছে দেন সাতক্ষীরা থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান।
একই দিন পুলিশ সুপারের নিকট থেকে প্রেরিত খাদ্য সামগ্রী গাদঘাটা গ্রামে লক ডাউনে থাকা করোনা আক্রান্ত হাসিনা বেগমের বাড়ি গিয়ে পৌছে দেন সাতক্ষীরা থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান।এসময় সদর থানার কুইক রেসপন্স টিমের সদস্য সাতক্ষীরা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আবুল কালাম আজাদ, এসআই আহম্মদ ও এএসআই ফারহানা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র জানায়,কয়েক দিন আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গদাঘাটা গ্রামের হাসিনা খাতুন ও দেবনগরে সেলিম, মাছুম বিল্লাহ করোনা আক্রান্ত হওয়ার সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তাদের বাড়ি লক ডাউন করে আসে।করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লক ডাউন ঘোষনা করায় তাদের বাড়িতে চাল-ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র শেষ হয়ে যায়।
এক পর্যায়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারি শারমিন নাহার দেবনগরে করোনা আক্রান্ত সেলিম ও মাছুম বিল্লাহর বাড়ি তে যান তাদের সার্বিক খোজ খবর নিতে।তাদের সাথে কথা বলে স্বাস্থ্য সহকারি শারমিন নাহার জানতে পারেন যে তাদের বাড়িতে কোন খাদ্য সামগ্রী নেই।তারা খুব গরীব মানুষ।তাদের অসুবিধার বিষয়টি স্বাস্থ্য সহকারি শারমিন নাহার বাড়িতে এসে তার স্বামী (সাংবাদিক) কে জানান। পরে ঐ স্বাস্থ্য সহকারির স্বামী বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)এঁর সরকারি ফোনে এসএমএস করে জানালে শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামানের মাধ্যমে সদর উপজেলার লক ডাউন কে থাকা তিনটি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে প্রত্যেকটি পরিবার কে ১০ কেজি চাল,৫ কেজি ডাল,২ কেজি আলু,১ লিটার তেল,২ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি লবণ ও একটি সাবান পৌছে দিয়ে আসেন। এই সময় সাতক্ষীরা থানার ওসি আসাদুজ্জামান করোনা আক্রান্তদের সাহসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং সাতক্ষীরা জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। একই সাথে এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন সাতক্ষীরা থানার ওসি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.