গোপালগঞ্জে মাকে খুন করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে গুম করার অভিযোগে ছেলে আকাশকে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দি দিয়েছে। শুক্রবার বিকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ছানোয়ার হোসেন এক প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদেরেএসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৭ জুন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া রাধাগঞ্জ কালিকাবাড়ি এলাকার হাসি রানী পাণ্ডে (মানসিক রোগী) তার ছেলে তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র আকাশ পাণ্ডে রাতে মায়ের কাছে খাবার চাইলে তার মা হঠাৎ খাবারের প্লেট বাটি ছুড়ে মারেন, ভাত ফেলে দেন। আকাশ থামাতে গেলে তার মা বটি দিয়ে কোপ দিতে উদ্যত হন। এসময় আকাশ মাকে কাছে থাকা রান্নার লাকড়ি দিয়ে আঘাত করলে তার মায়ের মাথার পেছনে লেগে মাটিতে পড়ে মারা যান। আকাশ তখন প্রথমে ঘরের বাইরে গিয়ে চারপাশ লক্ষ্য করে এবং পাশের বাড়ি হতে পাটখড়ি এবং ঘর হতে গ্যাসলাইট ও কেরোসিনের বোতল নিয়ে মায়ের লাশ কোলে করে নৌকাযোগে কিছু দূর নিয়ে যায়। সেখানে লাশ রেখে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। লাশ পুড়ে ছাই হয়ে গেলে নৌকার পানি সেচের সেচনি দিয়ে ছাই পানিতে ফেলে বাড়ি এসে গোসল করে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন সকালে বাবা জিজ্ঞেস করলে আকাশ জানায়, তার নানা হয়ত মাকে তাদের নানাবাড়ি নিয়ে গেছে কিংবা মা কোথাও চলে গেছে- আবার ফিরে আসবে। এ ঘটনায় আকাশের বাবা নিকট আত্মীয়দের পাঁচজনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ তদন্তে নামে। ভিকটিম হাসি রানীর ছেলে আকাশের আচরণ সন্দেহজনক হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মা হাসি রানী বাড়ৈকে খুন করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে গুম করার দায় স্বীকার করে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কোটালীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপরে গোপালগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দি দিয়েছে আকাশ।