কয়েকদিন আগে সন্ধা বেলায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক তিন বারের সফল সাধারন সম্পাদক ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের উজ্জল ভাই ফোন দিলো আমাকে।
উজ্জ্বল ভাইয়ের ফোন পেয়ে আমি যথারীতি সালাম বল্লাম বস কেমন আছেন ,উজ্জল ভাই রেসপন্স দিয়ে বললেন ,আচ্ছা থানার সামনে রতনের গ্যারেজ রেখে একটু সুপার সপ দোকান আছে ঐ দোকানের মালিক আলমগীর হোসেন মিঠু কে চেনো?
আমি উত্তরে বল্লাম চিনি বস ,উজ্জল ভাই হাসি দিয়ে বল্লেন "তুমি নাকি ওর বস " আমি উত্তরে বল্লাম আমি ওর বস না আমি ওর একটা অনলাইন পত্রিকা তৈরি করাই দিছিলাম জনৈক মাসুদ নামের এক ছোটভাইয়ের কাছ থেকে। ও সেখান থেকে এখন বড় সম্পাদক আমাকেও আর গোনেনা। ও যেনো আপডেট সাতক্ষীরার সাথে না পারে সেজন্য আমি ওকে সমিতির নামে নাম দিয়ে দৈনিক জনকল্যাণ নামক একটি অন লাইন খুলে দিয়েছিলাম।
উজ্জল ভাই বল্লেন, আমার এক আত্মীয় ওর দোকানে গিছিলো অভিযোগ লিখতে, ও অভিযোগ লিখে একশ টাকা নিলো সেটা ঠিক আছে আবার অভিযোগটি ছবি তুলে ওর জনকল্যাণ পত্রিকায় নিউজ করে দিয়ে আবার তার কাছে টাকা চাচ্ছে কেনো??
উজ্জল ভাই আরো বল্লেন, যে লোক দোকানে চা বিক্রি করে ,যে লোক জিডি লেখে,যে লোক ওয়াইফাই লাইনে কাজ করে সে আবার সম্পাদক হয় কিভাবে ??পরে উজ্জ্বল ভাই তার সাথে আমার কনফারেন্স করে কথা বলিয়ে দিলে সে দেখি উজ্জল ভাইর সাথেও তর্ক করতে থাকে।পরে আমি ধমক দিয়ে বল্লে সে উজ্জল ভাইর কাছে ক্ষমা চায়।
উজ্জল ভাইর ঘটনা যেতে না যেতে গতকাল সতক্ষীরা সদর থানায় গেলাম একটি কাজে,সেখানে যাওয়া মাত্রই এক জন এসআই,এএসআই আসাদ ও এএসআই নজরুল ভাই আমাকে বল্লেন, জিমি ভাই আপনার সেল্টার ও আশপর্দা পেয়ে দোকানদার আলমগীর হোসেন মিঠু আমাদের অফিসার দের সাথে বাজে ব্যবহার করে।
আমি হতবাক হয়ে বল্লাম ছি: ছি: ছি: আমার সেল্টারে মানে ? তখন তারা বলেন, আপনার সাথে ঘোরে ও আপনি ওর দোকানে বসেন সেজন্য তো আমরা আপানর মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে কিছু বলিনা। তিন দারোগা আরো অভিযোগ করে বল্লো কয়েকমাস আগে কোর্টে দায়িত্বরত এক সাব-ইন্সপেক্টর নাম সম্ভাবত (অনুপম) কে ফ্লেক্সি লোড নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানদার আলমগীর ঐ অফিসার কে মারতে উদ্যৌত হয়।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার এএসআই নজরুল ইসলাম। এএসআই নজরুল উপস্থিত ছিলো বলে দোকানদার ঐ পুলিশ অফিসারের গায়ে হাত দিতে পারে নি সেদিন। এএসআই নজরুল আরো অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে ওয়াইফাই ব্যবসাকে কেন্দ্র কর জনৈক ডিস ব্যবসায়ী সোহাগের সাথে মিঠুর ঝামেলা বাধে। পরে মিঠু সোহাগের নামে সাতক্ষীরা থানায় অভিযোগ দিলে ওসি স্যারের নির্দেশে আমি বিষয়টি তদন্ত করে তাদের মধ্যে মিলমিশ করার চেষ্টা করি।
একপর্যায়ে মিঠু কয়েক দিন আগে আমার কাছে ফোন দিয়ে আমাকে মুখ খিস্তি করে বলে আপনি দুই পাটির কাছ থেকে টাকা নেন ,আপনি ওমুক তমুক ,আপনকে বদলী করে দেবো ডিআইজি বলে ইত্যাদি খারাপ ভাষা ব্যবহার করে কথা বলে আমাকে থ্রেট দেয়।এএসআই নজরুল আরো বলেন, এবিষয়ে আমি গতকাল রোলকলে ওসি স্যার কে বলেছি।ওসি স্যার বলেছেন, জিমি তো আমাদের লোক কিন্তু মিঠু কে সেল্টার দেচ্ছে কেনো?? একথা শুনে আমি আরো হতবাক হয়ে গেলাম।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক তিন বারের সেক্রেটারী মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল ভাই ও তিন দারোগার অভিযোগ শুনে আমি ভিষণ মর্মাহত ও হতবাক।
তাদের অভিযোগ সে নাকি আমার সেল্টারে এসব কাজ করে।
এবিষয়ে আমার পরিষ্কার ব্যক্তব্য হলো সাতক্ষীরা সুপার সপের মালিক জিএম আলমগীর হোসেন মিঠু যদি আমার নাম বা আপডেট সাতক্ষীরা র নাম ভাঙিয়ে কোনো রকম অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে বা কোনো পুলিশ সদস্য কে হুমকি ধামকি দেয় তাহলে তার দায়দায়িত্ব কখনো আমি বহন করিবনা।
কারন আমি এসব নব্য কথিত সাংবাদিক কে কখনো প্রচ্ছায় দেইনি আর ভবিষ্যতে দেবোও না !!আর আজকের পর থেকে সাতক্ষীরা সুপার সপের মালিক ,দৈনিক জনকল্যাণের সম্পাদক ও ওয়াই-ফাই ব্যবসায়ী জিএম আলমগীর হোসেন মিঠু যদি আমার নাম ব্যবহার করে কোথাও কোনো রকম সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে তাহদের দেরি না করে আামার পার্সোনাল মোবাইলে 01730-914043 নাম্বারে ফোন দিয়ে জানাতে পারেন অথবা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন এতে আমার কোনো রকম আপত্তি থাকবেনা আমার।
উল্লেখ্য: এ নিউজ পাবলিশ করার ১-২ ঘন্টা পর আলমঙ্গীর হোসেন মিঠু আমাকে ফোন করে ডাকে। ডেকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায় নিউজ ডিলেট করার জন্য। পরে সে আমার ছবি এডিট করে ভিডিও বানিয়ে নেটে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি প্রদর্শণ করে।এবিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য আমি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার স্যারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শ্রদ্ধান্তে... মো: নিয়াজ ওয়াহিদ (জিমি) সিটিজেন জার্নালিস্ট,সাতক্ষীরা( খুলনা বিভাগীয় কমিশনার অনুমোদিত) এন্ড প্রকাশক আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম।