কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন নৃশংসভাবে একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যার ঘটনা জানতে পেরে সমবেদনা জানাতে ঢাকা থেকে ছুটে এসেছেন সাতক্ষীরা তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। বৃহম্পতিবার বিকালে সংসদ হেলাতলার ঐ বাড়িতে যান শোকাহত পরিবার কে সমবেদনা জানাতে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংসদ সদস্য তাঁর ফেইজবুক আইডিতে স্টাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন এলাকাবাসীর মুখের কোন ভাষা নেই।খুনিদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য।
প্রাসংঙ্গত :
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল বুধবার রাত বা আজ বৃহস্পতিবার ভোরের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন শাহিনুর রহমান (৪০), তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৫), ছেলে সিয়াম হোসেন (১০) ও মেয়ে তাসলিমা (৮)। তাঁদের বাড়ি কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিশাগ্রামে।
শাহিনুর মৎস্য ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারান পাল জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পুলিশকে খবর দেন। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পাশের এক বাড়িতে রাতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতেরা একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যা করেছে। এ খবর পেয়ে তিনি (ওসি) কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
ওসি হারান পাল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনের লাশ দেখতে পায়। চারজনকেই কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বাড়ি থেকে কোনো জিনিসপত্র খোয়া যায়নি।
নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম জানান, বাড়িটিতে তাঁর মা ও বড় ভাইয়ের পরিবারের চারজনসহ তাঁরা সাতজন থাকতেন। তাঁদের মা গতকাল এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। তিনি (রায়হানুল) ছিলেন পাশের ঘরে। আজ ভোরে পাশের ঘর থেকে তিনি গোঙানির শব্দ শুনতে পান তিনি। তিনি গিয়ে দেখেন, ঘরের বাইরে থেকে দরজা আটকানো। দরজা খুলে দেখতে পান বীভৎস দৃশ্য। তখনো একটা শিশু বেঁচে ছিল। সে কিছুক্ষণ পর মারা যায়।
রায়হানুল ইসলাম বলেন, তাঁদের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে পাশের কয়েকজনের বিরোধ ছিল। কিন্তু কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
ওসি হারান পাল বলেন, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতি করার জন্য নয়, পরিকল্পিতভাবেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.