প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় ‘আনন্দময়ীর’ নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় শুরু হয়েছিল এ উৎসবের। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনে তা শেষ হলো।
আগামী বছর আবার আসবেন এই বিশ্বাসে অশ্রুসিক্ত নয়নে সোমবার দুপুরের পর থেকে দুর্গা মাকে বিদায় জানান সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এদিন দুপুর দেড়টার দিকে দেবহাটার ইছামতি নদীর স্নানঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে এক এক করে জেলার সাতটি উপজেলায় দুপুরের পর থেকে দুর্গা মাকে বিদায় জানান সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা ডিবি পুলিশের কার্যক্রম ছিলো প্রশংসার দাবিদার। ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় ‘আনন্দময়ীর’ নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় শুরু হয়েছিল এ উৎসবের।আর সেখান থেকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো:আসাদুজ্জামানের তত্বাবধানে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিনের নেতৃত্বে
সাতক্ষীরা থানা পুলিশ ও কলারোয়া থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার বিট পুলিশ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পূজামণ্ডপ ও তার আসেপাসের এলাকায় আইন-শৃংখলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন।
অপরদিকে দেবহাটা থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো:ইযাছিন আলীর নেতৃত্বে দেবহাটা থানা পুলিশ,কালিগজ্ঞ থানা পুলিশ,শ্যামনগর থানা পুলিশ ও আশাশুনি থানা পুলিশ প্রতিমা বিসর্জনের আগ পর্যন্ত পূজামণ্ডপের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখে। আবার তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ও তালা থানা পুলিশ প্রতিমা বিসর্জনের আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার পূজামণ্ডপ ও তার আসপাসের এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখে।
তবে জেলা ডিবি পুলিশ দূর্গোৎসব পালনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক জেলা ডিবির অফিসার ইয়াছিন আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে
জেলা ডিবির পরিদর্শক বাবুল আক্তার, পরিদর্শক মো: জহিরুল ইসলাম,ডিবির পরিদর্শক আজিজুর রহমান ও ডিবির পরিদর্শক নূরূস সালাম সিদ্দিক নিজ নিজ ইউনিট নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা,কলারোয়া, তালা, পাটকেলঘাটা, দেবহাটা, কালিগজ্ঞ, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ৫ টি মাইক্রবাস যোগে ডিবির ৫ পরিদর্শক ( ইনচার্জ সহ) জেলা ডিবির এসআই,এএসআই গণ পূজামণ্ডপ ও তার আসপাসের এলাকায় কঠোর নজরদারীতে রাখে।
যার ফলে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সোমবার দুপুরের পর শান্তিপূর্ণ ভাবে দুর্গা মাকে বিদায় জানানো সম্ভভ হয়েছে।করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত সুন্দর পরিবেশে দূর্গোৎসব পালন করতে পারায় সাতক্ষীরা জেলা পূজাউদযাপন কমিটি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রাসংঙ্গত : সাতক্ষীরা জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা-২০২০ নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২৬/১০/২০২০ তারিখে সমাপ্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলায় মোট ৫৬৪ টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপিত হয়। এর মধ্যে ৫১৫টি পূজা মন্ডপের প্রতিমা ২৬/১০/২০২০ তারিখে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বাকী ৪১ টি মন্ডপের প্রতিমা অদ্য ২৭/১০/২০২০ তারিখে বিসর্জন দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
০৮ টি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন না করে ঘট পূজার জন্য সংশ্লিষ্ট পূজা মন্ডপ কমিটি নিজ দায়িত্বে সংক্ষণ করেন। জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম(বার), পুলিশ সুপার সাতক্ষীরার নেতৃত্বে জেলা পুলিশের প্রচেষ্টা ও সার্বিক তত্বাবধানে জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হয় নাই । শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে দুর্গা পূজা উৎসব-২০২০ সমাপ্ত হয়েছে।