ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট বন্দর চট্রগ্রাম একটি স্বনামধন্য সরকারী প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকে ১ বৎসরের কোর্স করে প্রতি বৎসর শতশত মেধাবী ছেলেরা যায় জাহাজে চাকুরী করতে।গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট বন্দর চট্রগ্রামের ২৩ ব্যাচ ও মাদারীপুর শাখার ১২ তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী রেটিং নির্বাচনের লক্ষে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রা ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে ভাইবা পরীক্ষা দিয়ে ডেক রোটিং,ইঞ্জিন রেটিং,স্টুয়ার্ড রেটিং,কুক রেটিং,ফিল্টার কাম ওয়েলডিং রেটিং ও ইলেট্রেশিয়ান রেটিং প্রশিক্ষণে ভর্ত্তি হওয়ার সুযোগ পায়।
দেশের শ্রেষ্ঠ একটি মেরিটাইম ইন্সটিটিউটে কোর্সের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাস করেই এই কোর্সে ভত্তির জন্য আবেদন করেন।মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা এই কোর্সে এক বৎসরের পড়ার সুযোগ পান।কোর্স শেষ করে তারা বিভিন্ন জাহাজে চাকুরীর জন্য যেতে পারেন।
দেশের শ্রেষ্ঠ একটি মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের ভাবমুর্ত্তি নষ্ট করার পায়তারা করছে একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিয়ার। এখান থেকেই কোর্স করে মেঘনা এনার্জি জাহাজের আউটারে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আরমান।
সে নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা । প্রতি বৎসর চট্রগ্রাম মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের ভর্ত্তির সময় সে তার এলাকার ছোট ভাই/আত্মীয় স্বজনদের এক বৎসরের কোর্সে ভত্তি করে দেবে বলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা করে জনপ্রতি হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে বলেন,আমার কাছ থেকে ইজ্ঞিনিয়ার আরমান ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে আমাকে স্টুয়ার্ড শাখায় ভর্ত্তি করে দেবে বলে।ঐ শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,ইঞ্জিয়ার আরমানের চাচা অবসর প্রাপ্ত সচিব। তার কথায় নাকি চট্রগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের ক্যাপ্টেন উঠেন এবং বসেন।অন্য একজন শিক্ষার্থী ইঞ্জিয়ার আরমানের তদবীর সংক্রান্ত বিষয়ে একটি হোয়ার্ট্সআপের স্কিনসর্ট এ প্রতিবেদকের কাছে পাঠিয়েছেন। সেখানে ঐ ইন্সটিটিউটে কর্মরত সুমন ঘোষ নামক কর্মকর্তার সাথে ইঞ্জিয়ার আরমানের ভত্তির জন্য তদবীর সংক্রান্ত একটি চ্যাট পাওয়া গেছে।প্রার্থীরা যেনো আরমান কে বিশ্বাস করে টাকা দেয়, সেজন্য সে মেরিটাইম ইন্সটিটিউট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার বা ম্যাসেজ আদান-প্রদানের স্কিন সর্ট প্রার্থীদের কাছে পাঠায়। সেখানে ইঞ্জিনিয়ার আরমান সুমন ঘোষ নামক ঐ কর্মকর্তাকে লিখেছেন,
"নমোস্কার স্যার,
আমি ১৯ ব্যাচের,
স্যার কথা বলা যাবে?
স্যার,আমার একটা ছোট ভাই আছে,
স্টুয়ার্ডে এপ্লাই করেছে,স্যার, আমি মেঘনা এ্যানার্জীতে আউটারে আছি,তাই দেখা করতে পারছিনা। স্যার আমি পৌসু দিন আপনার সাথে সরাসরি দেখা করতে পারবো স্যার? তাহলে আমি আসবো স্যার? এসময় সুজন ঘোষ নামের ঐ কর্মকর্তা রেসপন্স দিয়ে লেখেন..... আসো। পরে ইজ্ঞিনিয়ার আরমান তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবারো লেখেন স্যার,আমি বলেদিছি, সব রেডি আছে।আপনি বল্লেই(-) দিয়ে যাবে স্যার।আমার জাহাজ ছেড়ে দিচ্ছে একটু খেয়াল রাইখেন।
উপরের কথা গুলি সুইস্পষ্ট প্রমান করে দেয় যে ইঞ্জিয়ার আরমানের সাথে ঐ মেরিটাইম ইন্সটিটিউট কর্মকর্তা সুজন ঘোষ কি বলছে আর,কোন বিষয়ে বলছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রানলায়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো: আবদুস সামাদ যখন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তখন বাংলাদেশ মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের সব গুলো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মুলক ছিলো। কোনো রকম দুর্ণীতি ও অনিয়ম কে প্রচ্ছয় দিতেন না তৎকালীন সচিব মো: আবদুস সামাদ।কিন্তু এখন এখানকার অবস্থা এমন কেনো হবে? যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্ণীতি র বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সেখানে কোনো দপ্তরে দুর্ণীতির কোনো সুযোগ থাকার কথা নয়।
ভুুক্তভোগীরা জানিয়েছেন মেঘনা এ্যানার্জীতে আউটারে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার আরমানের মত প্রতারকের কবলে যদি প্রত্যেক বৎসর কোনো না কোনো শিক্ষার্থী এসে প্রতারিত হয় তাহলে এই প্রতিষ্ঠানে এসে কোর্স করার আগ্রহ হারাবেন শিক্ষার্থীরা।তাই চট্রগ্রাম বন্দর ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট থেকে ও জাহাজের সকল কর্মকান্ড থেকে এই প্রতারক আরমান কে বহিস্কার করার জন্য মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.