বরাবরই তিনি সময়ের চেয়ে প্রাগ্রসর এবং আধুনিক। নিজের সুফল মস্তিষ্কে নতুন কনসেপ্ট ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’। যেটি করেন পরবর্তী সময়ে সেটি অনুসরণ করেন অন্যরা। তার নামের আগে স্বভাবতই ‘পথিকৃৎ’ শব্দটিই যুতসই। গভীর দেশপ্রেম, দায়িত্বশীলতা আর কর্তব্যপরায়ণতায় অনড় থেকেই আরও একবার বিনয়ী ভাষ্য পুলিশপ্রধান ড.বেনজীর আহমেদ এঁর কন্ঠে।
https://m.youtube.com/watch?v=OA_x-LEw7o4
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে স্পোর্টস ক্লাবে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তখন টাইগারদের রাজত্ব। সবার চোখ টিভির পর্দায়। হঠাৎ ধারাভাষ্যকার জানালেন বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ’র গুরুত্বপূর্ণ এক বার্তার কথা। এ এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত!
শুক্রবারের (১৬ জুলাই) হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালীন বাংলা ও ইংরেজি দু’মাধ্যমেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভিডিও বার্তায় সুরক্ষাহীন জীবনের শঙ্কা-অনিশ্চয়তার পাশাপাশি নিজেদের নিরাপদ রাখার আশাবাদী প্রত্যাশায় জীবনের জলছবিও এঁকে দিয়েছেন এই পুলিশ মহাপরিদর্শক।
পুলিশ সদর দপ্তরে নিজ কক্ষে বসে সপ্রতিভ পুলিশপ্রধান প্রিয়জন, প্রিয় মুখকে হারানোর দগদগে ব্যথার পুনরাবৃত্তি থেকে রক্ষায়, দু:খকে সরিয়ে সতর্ক জীবনের মন্ত্র গেঁথে দিয়েছেন মাত্র ১৯ সেকেন্ডেই।
বিভীষিকাময় সময়ে দেশের মানুষের আবেগ-ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি হয়ে আশার আলো জ্বালিয়ে অতিমারি করোনার ছোবল থেকে বাঁচতে গুরুত্বপূর্ণ চারটি বার্তা দিলেন। মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে দেশবাসীকে সচেতন ও সতর্ক হতে পরামর্শ দিলেন।
https://m.youtube.com/watch?v=Ba-QGVA06f8
করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষার লড়াইয়ে মানুষকে উজ্জীবিতও করলেন। ঘরে থেকেই আনন্দে-শান্তিতে ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে নিজে ভালো থাকার এবং সবাইকে ভালো রাখারও আহ্বান জানালেন।
ভিডিও বার্তায় পুলিশপ্রধান ড.বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘মহাদুর্যোগের মধ্যেই ঈদ-উল-আজহা উপস্থিত আমাদের মাঝে। দয়া করে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। মাস্ক পরিধান করবেন এবং বিনা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বাইরে যাবেন না। সরকার সময় সময় যে অনুশাসনগুলো জারি করছেন সেগুলোকে আমরা কঠোরভাবে অনুসরণ করবো। ভালো থাকবেন সবাই।’
এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন সময়েও একই রকম ভিডিও বার্তায় সবাইকে সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও উৎসাহিত করেছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও অতিমারি মহাদুর্যোগ অতিক্রম করছে। আক্রান্তের হার কমাতে হলে অবশ্যই আমাদের সবাইকে স্ব্যাস্থবিধি মেনে চলতে হবে। বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন, মাস্ক পরিধান করুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশটাকে রক্ষা করি।’
অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা প্রতিপালনের পাশাপাশি নিজের অধ্যয়ন, অভিজ্ঞতা আর উপলব্ধির সমন্বয়েই সব সময় দেশের মানুষের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করেই কথা বলেন ড.বেনজীর আহমেদ। তার সহজ অনুধাবণে জীবনবোধ ব্যপ্ত হয় আলোর শিখায়। চলতি করোনা দুর্যোগে তিনিই মানবিক পুলিশের উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবির নির্মাতা।
গত দেড় বছরে নিজের নেতৃত্বগুণেই পুলিশ সম্পর্কে দেশের মানুষের নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশের স্বকীয় মর্যাদায় তার নেতৃত্বের ভূমিকা সুবিদিত। করোনা মহামারীর এলোমেলো সময়ে বিচক্ষণ ও দূরদর্শী এই পুলিশপ্রধান বিশ্বপরিমন্ডলেও সচেতনতার মাধ্যমে মারণঘাতী করোনাকে প্রতিহত করার নতুন স্বপ্ন বুনে নির্ভয়ে শান্তিতে নি:শ্বাসের পথও বাতলে দিলেন সবাইকে।