সাতক্ষীরায় জামাইয়ের উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি মোমেনা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। শক্রবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সদর উপজেলার গাজীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধু মোমেনা খাতুন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত মোমেনা খাতুন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী। পুলিশ ঘাতক জামাই আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করেছে। এঘটনায় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী হালিমা খাতুন ও তার মেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
নিহতের ছেলে ফিরোজ হোসেন জানান, ১৫ বছর আগে সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের নেছার আলীর ছেলে আব্দুল মতিনের (৩৫) সাথে তার বোন হালিমা খাতুনের (৩০) বিয়ে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে মতিন স্ত্রী হালিমা খাতুনের উপর শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। এ অবস্থায় তার বোন হালিমাকে আমাদের বাড়ীতে আসার কথা বলি। কিন্তু মতিন জানায় বোনকে নিতে হলে একেবারে তালাক করিয়ে বাপের বাড়ীতে নিয়ে যেতে হবে। একপর্যায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সমঝোতার ভিত্তিতে আমার বোনের সাথে মতিনের ছাড়া ছাড়ি হয়ে যায়। এর পর মতিন প্রায়ই আমার মায়ের কাছে ফোন করে বোনকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু আমার মা ও বোন মোমেনা খাতুন তার কথায় রাজি হয়না। একপর্যায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মতিন গোপনে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। মা, বোন ও ভাগ্নি যে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল ওই ঘরে ঢুকে মা ও বোনকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। তাদের আত্মচিৎকারে মতিন দ্রুত পালিয়ে যায়। আহত মা ও বোন এবং ভাগ্নাকে স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাতে মা মোমেনা খাতুনের মৃত্যু হয়। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য জন্য আমার বোন হালিমাকে সদর হাসপাতাল থেকে শহরের হার্ট ফাউন্ডেশন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থাও আশংকাজনক।
https://youtu.be/a2sE5BhulRo
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতাক খুনি আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।তিনি আরো জানান ঘাতক কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.