এতদ্বারা সকলের অবগতির নিমিত্তে জানানো যাইতেছে যে আমি মো: নিয়াজ ওয়াহিদ জিমি।ছোট খাটো একটা জব করি। পাসাপাসি ফেইজবুকে সরকারের উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম প্রচার করে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব(সিনিয়র সচিব তথ্য মন্ত্রনালয়) এন এম জিয়াউল আলম পিএএ স্যার,তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ (সিনিয়র সচিব এসডিএফ চেয়ারম্যান) স্যার ও তৎকালীন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (অতিরিক্ত সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়) আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন স্যারের নিকট থেকে সাতক্ষীরা জেলার সিটিজেন জার্নালিস্ট হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করি।
সেখান থেকেই অনুপ্রেরনা পেয়ে আমি আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম নামক একটি ওয়েব সাইট তৈরি করি।সেখানে শুধুই সরকারের উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম ছাড়া কোন রকম কারো নামে নেগেটিভ নিউজ করা হয়না।২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল বেশ ৪ বৎসর যাবৎ অনলাইন টি চলছে সুনামের সহিত।অনলাইনে প্রশাসনের নিউজ বেশি করায় এটি প্রশাসন/পুলিশের পত্রিকা হিসাবে সরকারের উর্ধত্তন অফিসারদের কাছে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।আমি চাই আপডেট সাতক্ষীরার এই সুনাম বজায় থাকুক।
আমি আরো জানাচ্ছি যে গত সপ্তাহে সাতক্ষীরার মিডিয়া জগতের দুই প্রিয় ছোট ভাই সাংবাদিক মুনসুর ও সাংবাদিক আলতাফ বাবু ফোন করে অনুরোধ জানান দৈনিক সূর্যের আলো পত্রিকায় অফিসে আসার জন্য। সেখানে এসে দেখতে পেলাম একটি চমৎকার উদ্যোগ সাতক্ষীরা অনলাইন প্রেসক্লাব নামক ১৩ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।সেখানে আমাকে সহ-সভাপতি করা হয়। ঐ দিন কমিটি ঘোষণা করার পর রাত ১১ টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পেলাম এই কমিটির বিপরীতে দেখতে পেলাম ফরহাদ সভাপতি ও আজিজুর সাধারন সম্পাদক হয়ে একই নামে একটি কমিটি ঘোষণা করেছে।
যেটা দেখে আমি খুব বিব্রত হয়েছি। পরে আমি বিষয়টি নিয়ে ছোট ভাই সাংবাদিক ফরহাদ কে বল্লাম কি ঘটনা? ফরহাদ উত্তরে অনেক কিছুই বল্লো। সে বল্লো এই কমিটিতে আগে জাহিদ সহ অনেকে ছিলো। তারা মনোমালিন্যতার কারনে কমিটি ছেড়ে চলে গেছে।ভালো কথা মনে করলাম ফরহাদ চেপে যাবে। পরে প্রথম কমিটির সভাপতি মুনসুর ও সাধারন সম্পাদক আলতাফ বাবুর অনুরোধে ফুল নিয়ে গেলাম দৈনিক পত্রদূত ও দৈনিক কালের চিত্র অফিসে। সেখানে সিনিয়র সাংবাদিক দের দোয়া নিয়ে আসলো প্রথম কমিটি।এতক্ষণ ভালো ছিলো পরিবেশ।
হঠাৎ বৃহম্পতিবার রাতে দৈনিক পত্রদূত ও ডেইলি সাতক্ষীরায় নিউজ দেখলাম সাতক্ষীরা অন লাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের সৌজন্য স্বাক্ষাত। নিউজে দেখলাম পরের কমিটির সভাপতি ফরহাদ ও সাধারন সম্পাদক আজিজুল জেলা প্রশাসক মহোদয় কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বিষয়টি দেখে আরো বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখে হলাম।এরুপ পরিস্থিতি দেখে মনে হলো এতদিন জানতাম সিনিয়র সাংবাদিক দের ২/৩ টে গ্রুপ আছে কিন্তু জুনিয়র সাংবাদিক দের কোন গ্রুপিং নেই। কিন্তু আমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।
এমতাবস্থায় আমার বয়স এখন ৩৯ প্লাস চলছে। আমি এখন মুনসুরের কমিটিতে থেকে মোস্ট জুনিয়র ছোট ভাই ফরহাদ /আজিজুরের সাথে মনকষাকষি করবো বা ফরহাদের কথা শুনে মুনসুর-আলতাফ বাবুর সাথে ঝগড়া করবো সেই বয়স আমার নেই। বা এসব করা আমার সাজেনা।
আমার পিতা ডা:মো: এবাদুল্লাহ সাতক্ষীরা জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ছিলেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা বিএমএ'র সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আছেন। দীর্ঘ ৪০/৪২ বৎসর যাবৎ তিনি ৫-১০ টাকা ফি নিয়ে মানুষকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে যাচ্ছেন। এই জেলার সবাই তাকে গরীবের ডাক্তার হিসাবে চেনেন ও শ্রদ্ধা করেন। আমি এই মহৎ মানুষের ছেলে বলে সাতক্ষীরা শহরের সকল স্থরের মানুষ আমাকে স্নেহ করেন ও ভালো নজরে দেখেন।শুধু তাই নয় জেলার সরকারী দলের নেতারাও আমাকে ভালো চেখে দেখেন ও স্নেহ করেন ডাক্তার এবাদুল্লাহ'র ছেলে বলে। জেলার সিনিয়র সাংবাদিক বৃন্দগণ ও আমাকে পছন্দ করেন ও স্নেহ করেন।
সুতরাং আজ শুক্রবার ১৩ আগষ্ট ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ থেকে আমি সাতক্ষীরা অনলাইন প্রেসক্লাব নামক প্রথম কমিটি থেকে সহ-সভাপতি র পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। আমি সকলের কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে থাকতে চাই।বিশেষ করে ছোট ভাইদের গ্রুপিংয়ের মধ্যে আমি থাকতে চাইনা।
শ্রদ্ধান্তে....
জিমি,সিটিজেন জার্নালিষ্ট, সাতক্ষীরা ও পরিচালক আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম।