গতকাল সাাতক্ষীরার কযেকটি স্থানীয় পত্রিকায় একটি সংবাদ দেখে হতবাক হলাম। যদিও সাংবাদিক ভাইদের কোন দোষ নেই এতে। কারন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করলে আবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করলে সেটা তো সাংবাদিক ভাইরা জানবেন এটা স্বাভাবিক বিষয়।
এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন হলো জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সচেতন নাগরিক কমিটি কে বানালো? আর এই কমিটির অনুমোদন ও বা দিলো কে?কমিটির অনুমোদন হয় জেলার সিভিল সার্জন দেবেন নয় তো ডিডিএফপি সাাতক্ষীরা দেবেন। কিন্তু জেলার সিভিল সার্জন ও উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা সাাতক্ষীরা কেউ এ ধরনের কমিটির অনুমোদন দেন নি।আবার দলীয় ভাবে সাাতক্ষীরা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ বা জেলা আ'লীগের সভাপতি /সেক্রেটারি এ কমিটির অনুমোদন দেন নি।
কমিটির যারা সদস্য তারা কি স্বাস্থ্য অফিসে বা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কেউ চাকুরী করেন?আর চাকুরী না করলে তো আর ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে এত বানানো কথা লেখাও যায় না।
ধরে নিলাম মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আশাশুনি -শ্যামনগর বা কালিগঞ্জ উপজেলার স্টার্ফ।আপনারা প্রতিদিন সকাল ৯ টার অফিস দুপুর ১২ টায় যান। ডিডিএফপি সাাতক্ষীরা আকর্ষ্মিক সকাল ১০ টায় পরিদর্শনে গিয়ে আপনাদের কর্মস্থলে পেলেন না।তখন ডিডিএফপি সাহেব আপনাদের হাজিরা খাতায় অনুপুস্থিত লিখে দিলেন।একারনেই আপনাদের কাছে ডিডিএফপি সাহেব খারাপ। তাই তো!!
ধরে নিলাম আপনাাদের আশাশুনি বা কালিগঞ্জ এলাকায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিক আছে।আপনি অফিস ফাঁকি নিয়ে সরকারি হসপিটাল থেকে রোগী ভাগিয়ে এনে আপনার প্রাইভেট ক্লিনিকে এনে রমরমা সিজার ব্যবসা করছেন।আবার প্রায় প্রায় আপনি সিজার করতে গিয়ে রোগী মেরে ফেলতেছেন, আপনার ক্লিনিকের নামে আবার রোগী মেরে ফেলার নিউজ হচ্ছে। এতে যদি সিভিল সার্জন বা ডিডিএফপি আপনার ক্লিনিকটা পরিদর্শনে যান,তাহলে সেটাও কি তাদের অপরাধ?
ধরেন, আপনি চাকুরী করেন স্বাস্থ্য বিভাগে আর আপনার স্ত্রী চাকুরী করেন পরিবার পরিকল্পনার এফডব্লুউভি পদে। আপনারা দুই জন ই একই উপজেলাতে চাকুরী করতেছেন। এমতাবস্থায় ডিডিএফপি সাহেব যদি আপনার স্ত্রী কে জনবল কম থাকায় সপ্তাহে ২ দিন অপর একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্ব দেন তাহলে সেটিও কি ডিডিএফপি সাাতক্ষীরার দোষ? ডিডিএফপি তো সরকারি সার্থে ও জনস্বার্থে আপনাদের পোষ্টিং দিচ্ছেন।তিনি তো নিজের স্বার্থে কাউকে পোষ্টিং দিচ্ছেন না।
সাাতক্ষীরার মানুষ ভালোভাবেই জানেন যে সাাতক্ষীরা জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক ( ১৮ তম বিসিএস) রওশন আরা জামান একটি টাকাও ঘুষ থান না।এমন কি তিনি কর্মচারী দের জিপিএফ লোন,পেনশন বা শ্রান্তিবিনোদন ভাতা কোন কাজেই চারানা পয়সা নেন না।সাাতক্ষীরা জেলার ৭ টি উপজেলার সকল স্টাফ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারেন তিনি একজন সৎ,নির্লোভী ও আদর্শ অফিসার।আপনারা খোজ নিলে জানতে পারবেন শহরে তার নিজের এক খন্ড ও জমি বা বাড়ি-গাড়ি নেই।তিনি শহরের একটি ৫ তলা বাড়ির ৪র্থ তলায় স্ব-পরিবারে ভাড়া থাকেন।তাঁর নিজের জেলা নড়াইলে অথচ গতকাল কে ঐ ভুঁইফোড় সংগঠন টি মানববন্ধনে বলেছেন তিনি নাকি সাতক্ষীরার সন্তান!!
অথচ গতকাল দেখলাম মানববন্ধনে ভুঁইফোড় ও স্বঘোষিত জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সচেতন নাগরিক কমিটি এই নিরিহ অফিসার কে বিপুল সম্পদের মালিক হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তারা আবার মানববন্ধনে বলেছেন কেনা-কাটায় গরমিল।কিন্তু কেনাকাটা তো আর ডিডিএফপি'র হাতে নয়।ডিডিএফপি চাহিদা পাঠান অধিদপ্তরে। পরে অধিদফতর থেকে জিনিস পত্র এমন কি ঔষধ পত্রও পাঠানো হয়।এছাড়া ঐ ভুঁইফোড় সংগঠনটি স্মারকলিপি তে বলেছেন কোন কোন জাগার কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজে নাকি অনিয়ম হয়েছে। আরো পাগলের দল!! ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার বিল্ডিং নির্মাণ করেন স্বাস্থ্যপ্রকৌশল অধিদপ্তর।তারা মহাপরিচালক এঁর নিকট থেকে কাগজপত্র এনে ডিডিএফপি কে দেখিয়ে অনুমতি নেন কাজ করার। বিল্ডিং নির্মাণ বা মেনামত কাজ শেষ হলে স্বাস্থ্যপ্রকৌশলী আবার সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের নিকট হস্তান্তর করেন।এতে করে ডিডিএফপি'র কোন সুযোগ নেই বিল্ডিং নির্মাণে কমিশন নেওয়ার।
প্রবাদ আছে ছেলে লোকের নামে বদনাম করলে তাকে নেশোখোর বা চরিত্রহীন তকমা দিয়ে গুজব ছড়িয়ে দিতে হয়।পক্ষান্তরে মেয়েদের নামে বদনাম করতে হলে তাকে পতিতা না কলগার্ল তকমা দিয়ে গুজব ছড়িয়ে দিতে হয়। আশাশুনি র পরিবার পরিকল্পনা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম একজন ২৭ তম বিসিএস অফিসার।তিনি আপনাকে বা আপনার স্ত্রীকে অফিস ফাঁকি দিতে দেন না বলে তাকে আপনি নারীলোভী বা চরিত্রহীন তকমা দিবেন??? ছি:ছি:ছি:
দৈনিক সমাজের আলো পত্রিকার সম্পাদক ইয়ারব সাহেবের মত বলতে হবেনে.... আমরা যাচ্ছি কোথায়?
আবার আশাশুনির এমওবমসিএইচ এফপি ডা:পলাশ দত্তাে কে নিয়ে যে বিভ্রান্তকর ব্যক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেটিও মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।ঐ স্বঘোষিত ভুঁইফোড় সংগঠন তাদের লিখিত ব্যক্তব্যে যা যা জানিয়েছেন সাংবাদিক ভাইেযা হুবাহু তাই তাই ছাপিয়েছেন। এতে কোন পত্রিকার দোষ নেই। কারন,আপনি চাইলেই সাাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে গঠণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী সম্ভাবত ১২০০/= টাকা দিয়ে প্রেস সম্মেলন করতে পারেন।
স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী জেলা পরিবার পরিকল্পনার ডেপুটি ডাইরেক্টর রওশন আরা জামান, নিজ খরচে কেক কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মদিন পালন করেন প্রতি বৎসর ই।
এছাড়া মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরার জেলা পরিবার পরিকল্পনার ডিডি রওশন আরা জামানের নেতৃত্বে একযোগে জেলার ৭ টি উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
একজন জনবান্ধব অফিসার হিসাবেও গ্রামের মহিলাদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। উপাত্ত যাচাই ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে তিনি প্রত্তান্ত অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে যান এবং সেবাগ্রহীতা দের সাথে হাসিমুখে কথা বলেন ও তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
সাাতক্ষীরা জেলা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা.মোজাম্মেল হক এবিষয়ে প্রতিবেদক কে জানান,জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সচেতন নাগরিক কমিটি নামক এমন সংগঠনের নাম আমি আজই শুনলাম। আমার জানামতে এমন কোন বৈধ সংগঠন সাাতক্ষীরা তে নেই।
তিনি জানান,সাাতক্ষীরা জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক রওশন আরা জামান মহোদয় একজন সৎ, দক্ষ ও ক্লিন ইমেজরাধী বিসিএস অফিসার।তিনি জানান,সরকারের উন্নয়ন যাত্রা ব্যাহত করতে ও তাঁর অর্জন এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি কুচক্রী মহল এসব মানববন্ধন করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ খেকে অপপ্রচার কারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
- প্রেস রিলিজ।