নড়াইল একটি অসাম্প্রদায়িক জেলা। এখানে কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করলে সাথে সাথে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যদি কেউ ফেসবুকসহ অন্য য়ে কোন গণমাধ্যমে ধর্ম অবমাননা বা কটূক্তিমূলক মন্তব্য করে তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। কেউ আবেগের বশবর্তী হয়ে অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে যদি কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে তার জন্য দেশে প্রচলিত আইন আছে। আইন অবমাননাকারীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না’।
শনিবার বিকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সকল অংশীজনদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন এ সব কথা বলেন। পরে রাত ৭টার দিকে তিনি দিঘলিয়া সাহাপাড়ার ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু বাড়ি,দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেন।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় এর সভাপতিত্বে ও লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, লক্ষীপাশা কওমী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুন্ডু ,শিক্ষক দিলীপ কুমার সাহা। মতবিনিময় সভায় সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক,সাংবাদিক,ইমাম,পুরোহিতসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষজন অংশ্রগ্রহন করেন।
খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, আমাদের প্রিয় মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সকল ধর্মের প্রতি সম্মান দেওয়ার কথা বলে গেছেন। অপর ধর্মের প্রতি আঘাত হানা থেকে বিরত থাকার কথাও বলেছেন। দেশে সব ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। তাই প্রত্যেক ধর্মের প্রতি সকলের সম্মান করা উচিত। দিঘলিয়ার সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের দ্রুতই বিচারের আওতায় আনা হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার যেন পূনরাবৃত্তি না ঘটে।