শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের দুর্র্ধর্ষ চুরির ঘটনায় সাতক্ষীরা থেকে আন্তজেলা চোর চক্রের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে শেরপুর পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান দুর্র্ধষ চুরির বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. এরশাদ (৩৬) ও মো. হাসান (৩২)। তাদের উভয়ের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। গত ২৩ নভেম্বর রাতে শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ওই চুরি সংঘটিত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চোর চক্রটি দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে একই কায়দায় বিভিন্ন ল্যাব থেকে চুরি করে আসছিলো। গত ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ক্যাম্পাসের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের গ্রিল কেটে প্রবেশ করে ৩টি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে, ২৫ টি কম্পিউটারের প্রসেসর, ২৫টি রেম, ২২ টি হার্ডডিস্ক, ২টি সিপিইউ, অন্যান্য মূলব্যান যন্ত্রাংস সহ প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এসময় তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া দুই নিরাপত্তা কর্মীকে মারপিট করে হাত-পা বেধে সিঁড়ির নিচে ফেলে যায়।
সকালে তাদের উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং ব্যাপারে ২৪নভেম্বর শেরপুর সদর থানায় ধারা- ৪৫৭/৩৮২ দন্ডবিধিতে মামলা দায়ের করে কর্তৃপক্ষ। শেরপুর পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম বলেন, আমরা ঘটনা জানার পরই একটি দল তদন্তে পাঠাই। তখন আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন ক্লো পাই। তার উপর তথ্য উপাত্ত গুলোকে যাচাই বাছাই করি।
ইতিপূর্বে যে সকল পলিটেকনিকে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাদের সাথে কথা বলি এবং একই ডিজাইনের সকল পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষকে সতর্কতায় থাকতে বলি।
পাশাপাশি সকল থানায় তথ্য পাঠাই। পরে ২৯ নভেম্বর সাতক্ষীরা পলিটেকনিকে একই কায়দায় চুরি করতে গেলে তাদের আটক করা হয়। পরে শেরপুর থানা পুলিশ সাতক্ষীরাতে তার জবানবন্দী গ্রহল করলে শেরপুর সহ বিভিন্ন পলিটেকনিকে চুরির কথা তারা স্বীকার করে।
পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্য মতে, ঢাকা জেলার কদমতলী থানার জুরাইন এলাকার বিক্রমপুর প্লাজা থেকে ১টি সিপিইউ, ২টি প্রসেসর, ৪টি র্যাম জব্দ করে শেরপুর সদর থানায় আনা হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আবদুল হান্নান খান বলেন, ঘটনার সাথে সাথেই আমরা পুলিশ কে জানিয়েছি এবং পুলিশ এই সিন্ডিকেট কে ধরতে পেরেছে এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তবে ১৮শত শিক্ষার্থীর এই প্রতিষ্ঠানে রাতে দুইজন অস্ত্রবিহীন নিরাপত্তা কর্মী কি যথেষ্ঠ ? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে এই ব্যাপারে জানাবো।