ঈদ বা যে কোনো ধরনের উৎসবে বেপরোয়া হয়ে উঠেন বাইকাররা। ফাঁকা সড়কে সর্বোচ্চ গতি তোলা যেন তাদের আনন্দের একটা অংশ। এবারের ঈদেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
ঈদের দিন শনিবার সড়কে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে হাত-পা ভেঙে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন ২১৬ জন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯৬ জন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।
ঈদের দিনে সারাদেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন মোটরসাইকেল চালক। এর মধ্যে নেত্রকোনায় তিনজন, বগুড়ার নন্দীগ্রামে দুই জন, রাজধানীতে একজন, গাজীপুরে একজন, সিলেটে একজন, দিনাজপুরে একজন, জয়পুরহাটে একজন,ফরিদপুরে একজন, বরিশালে ১ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই দুর্ঘটনার সময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দ্বিতীয় দিন রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত নতুন ১০৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন যার মধ্যে ৩৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
সন্ধ্যা পর্যন্ত রোগী আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত হৃদয় হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি, তাদের বেশিরভাগ তরুণ। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে বাইকে ঘুরতে বেরিয়ে এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানান তারা।’
তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন অনেক রোগী ছিল। আজও রোগীর চাপ আছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে রোগী আসেন। সন্ধ্যা ও রাতে রোগী আরও বাড়তে পারে।’
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.