সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেছেন,বঙ্গবন্ধু একদিনে তৈরি হয়নি। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি। বঙ্গবন্ধু যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন এদেশের মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসে গেছেন।বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে রাজারবাগে পুলিশ সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ করেন এবং যুদ্ধে দেশের জন্য অকাতরে অসংখ্য পুলিশ সদস্যগণ নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন । স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশকে তিনি জনগণের পুলিশ হওয়ার আহবান জানান। সেই আহবানে সাড়া দিয়ে আজ বাংলাদেশ পুলিশ জনগনের পুলিশে পরিনত হয়েছে।
১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান –এঁর ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ব্যক্তব্য এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তি নন, বরং প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসররা ক্ষমতায় থাকাকালে শত চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে। তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে কারণ বঙ্গবন্ধুর অবস্থান বাঙালির হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে আগামী প্রজন্মকে তাঁর আদর্শ ধারণে উৎসাহিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব হওয়া উচিত। এই দিনে বাংলাদেশ যা হারিয়েছে তার মর্মার্থ অনুধাবন করা সকলের উচিত। বড় বড় সভা সমিতি এবং অনুষ্ঠান করে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার দিন ১৫ আগস্ট নয়।
তিনি বলেন, আসুন সকলে মিলে শোক থেকে শক্তি সঞ্চার করি এবং সেই শক্তি দেশ গঠনের কাজে লাগায়।স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, ৭১ এর পরাজিত শকুন, যারা বার বার আমাদের জাতীয় পতাকা কে খাঁমচে ধরতে চেয়েছে,আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সেই পরাজিত শকুনদের প্রতিহত করি।