সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামালপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার রাত ১০টায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা। পাঁচটি আসনে চারটি আসনে নৌকা বিজয়ী হয়েছে এবং একটি আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।
জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যারা, জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশিগঞ্জ) প্রথমবারে মতো নূর মোহাম্মদ (নৌকা) পেয়েছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ২৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আবু সায়েম (লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৬ হাজার ৭০ ভোট।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) নৌকার প্রার্থী ফরিদুল হক খান দুলাল (নৌকা) পেয়েছেন ৭০ হাজার ৭৬২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (কাঁচি) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৪৮ ভোট।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) সপ্তমবারের মতো (নৌকা) প্রতীকে মির্জা আজম পেয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫০ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মীর সামছুল আলম লিপটন পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট।
জামালপুর-৫ (জামালপুর সদর) প্রথমবারের মতো আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট।
আবুল কালাম আজাদকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করতে দিন রাত মাঠে প্রচারণা চালিয়েছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও এসডিএফ চেয়ারপার্সন মো: আবদুস সামাদ।
জামালপুর জেলা রিটার্নিং অফিসের সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫টি আসনে ১০টি রাজনৈতিক দলের ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬২০টি এবং কক্ষের সংখ্যা ৩৭৮৩ টি। ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৬ জন।