কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ দিনব্যাপী মধুমেলার ৮ম দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মধুমঞ্চে আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাঙালি রেনেসাঁর শ্রেষ্ঠ কবি মধুসূদন দত্ত। তারই ফলে বাঙালি সংস্কৃতিতে স্বদেশ প্রেম ও জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটেছে। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা ভাষার যোগাযোগ ঘটিয়েছেন তিনি। তাঁর সাহিত্যে কি কবিতায় কি নাটকে সর্বক্ষেত্রে বাঙালী জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত করেছেন। যশোরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোরের সরকারী মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত ও যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আছাদুজ্জামান।
অলোচনায় অংশনেন যশোর সংবাদ পত্র পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দৌলা, যশোরের সুরধনীর সভাপতি হারুন অর রশিদ, যশোরের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, এ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিক, দৈনিক জনকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি সাজেদুর রহমান, অধ্যাপক মছিহুর রহমান ও দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন কেশবপুর উপজেলা শিশু বিষয়ক অফিসার বিমল কুমার কুন্ডু ও যশোরের অক্ষর শিশু শিক্ষালয়ের সকহারি শিক্ষক আফরোজা নাসরীন নীলিমা। আলোচনা সভার পূর্বে ও পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।