নির্দিষ্ট কাউন্টার ব্যতীত টিকিট বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, সড়ক, রেল এবং নৌ-মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা নিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোথাও টিকিট বিক্রি হলে বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। ফিটনেসহীন গাড়ি সড়কে নামানো যাবে না।
বুধবার ডিএমপি সদরদপ্তরে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সড়ক নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা এবং ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় করার বিষয় নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
হাবিবুর রহমান বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী দেড় কোটি লোক প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়বেন। সেটি যেন সুন্দর করতে পারি সেজন্য আমাদের আজকের এই সভাটি আয়োজন করা হয়েছিল। ঈদে নৌ-রেল-সড়ক সব কিছুতেই আমাদের নজর থাকবে, তবে সড়ক পথের প্রতি আমাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মতো বিষয়টি সভায় উপস্থিত বক্তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে।'
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় খুব দরকার। এজন্য আমি অনুরোধ করব আমাদের ট্রাফিকের এবং ক্রাইমের ডিসিরা জেলার সীমান্তের যে ইউনিট আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন; যে ম্যানেজমেন্টগুলো আছে সেগুলো যেন ঠিকঠাকভাবে করা হয়।'
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য ১১টি পথ রয়েছে। পথগুলোতে আলাদাভাবে সবাই সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থা নেবেন। মিটিং করেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে সমন্বয় করেন। প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেন। নিজেদের প্রোগ্রাম শেয়ার করেন।'
‘রাস্তাঘাটের যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে ঢাকা থেকে বেরিয়ে গন্তব্য পৌঁছাতে খুব কম সময় লাগবে। তবে ঢাকা থেকে বের হবার কিছু জায়গায় সমস্যা আছে। এই কয়েকটি পয়েন্টে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। একইসঙ্গে এই সমস্যাগুলো নিরসনে সব কর্মকর্তাদের আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
ফিটনেসহীন গাড়ির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখানে মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আছেন। সবাই একমত হয়েছেন কোনো অবস্থাতেই ফিটনেটবিহীন গাড়ি রাস্তায় আসবে না। এরপরেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে কোনোভাবেই এসব গাড়ি যেন রাস্তায় চলতে না দেয়। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ গাড়ি না আটকানো হলে ঢাকায় এসে এগুলো যানজট সৃষ্টি করবে। এজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিটে যে কর্মকর্তা আছেন তাদের চেষ্টা থাকবে এসব যেন ঢাকায় না ঢুকতে পারে।
হাবিবুর রহমান বলেন, লাইসেন্সবিহীন কেউ যেন ড্রাইভিং না করতে পারে সেটা নিয়ে মালিক সমিতির কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। আমি অনুরোধ করব দুর্ঘটনাবিহীন ঈদ করতে এ বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তারা যারা যেখানে আছেন তারা ব্যবস্থা নেবেন।
‘অতীতে তাকালে দেখি অধিক গতি, ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন, ড্রাইভিং লাইন্সেন্স ও মূল ড্রাইভার না থাকার পর হেলপার ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দিয়ে গাড়ি না চালানোর জন্য আমি সবাইকে নির্দেশনা দিচ্ছি।’
বাইরে থেকে ফেরার সময় গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়ায় বাস আটকিয়ে তা চুক্তি করে আবার বাইরে নিয়ে যায়। এতে করে ঢাকার যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয় উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'এই বিষয়েও ওই এলাকার কর্মকর্তারা নজর রাখবেন।'