সিরাজগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগে পাঁচজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা হলেন যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজ ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওমর আলী কওমি মহিলা মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও এসবি রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুসামা, বাহুকা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বনবাড়িয়া পাইকপাড়া মডেল স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক পিএলসি শহরের এসবি ফজলুল হক সড়ক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও হরিণা বাগবাটি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইয়াসিন আরাফাত।
এছাড়া বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মণ্ডল এবং রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর গোপন বৈঠকের ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় পাঁচজন প্রিসাইডিংসহ গোপন বৈঠকের মূলহোতা এক শিক্ষক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (৫ মে) রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বনবাড়িয়া কাদাই পার্কে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের গোপন বৈঠকের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনা জানার পর জেলা-উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে হাজির হলে প্রিসাইডিং ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এরপর পার্কে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে প্রিসাইডিং ও চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পাওয়া যায়নি। পরে প্রশাসন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পার্কের ম্যানেজারসহ তিনজনকে থানা হেফাজতে নেন।
এ জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসিটিভির ফুটেজের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পায় প্রশাসন। পরে রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এদিকে এ গোপন বৈঠকের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।