সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী কমিশনার, জনাব আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে পদায়ন পাওয়ায় Bangladesh Administrative Service Association (BASA) সাতক্ষীরা শাখা কর্তৃক বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল নিজ কার্যালয়ে তাকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গণ,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণ উপস্থিত ছিলেন।বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বিদায়ী অতিথি আমিনুল ইসলামের কর্মজীবন ও ব্যাক্তিজীবনে উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এদিকে সাতক্ষীরা থেকে চলে যাওয়ার পূর্বে সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম তার ব্যক্তি গত ফেইজবুক আইডি Aminul Islam থেকে এক আবেগঘন স্টাটাস দিয়েছেন। স্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো......
"সাতক্ষীরা ছেড়ে চলে যাচ্ছি। সুন্দরবনের কোলঘেঁষা দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাংশের এ জেলায় প্রায় তিন বছরের কাছাকাছি সময় এখানকার আলো, বাতাস, পানি গ্রহন করেছি। এখানকার প্রকৃতি, পরিবেশ, প্রতিবেশ, মানুষের সারল্য আর দিগন্তজোড়া পানিময় ঘের সত্যিই এক অপার্থিব ভাবুলতার জন্ম দেয়। চাকুরির প্রথম পোস্টিংয়ের এ জেলা এক অজানা আবেগের জন্ম দিয়েছে। সেই ৮ ই মে ২০১৭ সালে এ জেলাতে প্রথম আসি। চাকুরীকালীন এই সময়ে তিন তিন জন জেলা প্রশাসক (জনাব আবুল কাশেম মোহাম্মাদ মহিউদ্দিন স্যার, মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসাইন স্যার ও বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব এস এম মোস্তফা কামাল স্যারকে) অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি। তারা একেকজন ছিলেন মাথার উপর বটবৃক্ষের মতো।অনান্য স্যারদেরকেও ভীষণভাবে মনে পড়ছে। আপ্লুত ভাবনাগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। মন খারাপের এই দিনে 'বাস্তবতা' সান্ত্বনা হয়ে ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে। আসলে 'হৃদয় যতই ব্যথিত থাকুক কর্ম চক্র চলিতেই থাকে'। মহাকালের যাত্রার ক্ষনিকের এই সময়ে শিখেছি অনেক, নিয়েছি অনেক, পারিনি দিতে কিছুই। ভীষণভাবে মনে পড়বে সবাইকে, অনেক মিস করবো জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরাকে, এ জেলার কর্মময় ব্যস্ত দিনগুলোকে, ছুঁটেচলা গতিময় গমনাগমকে, নির্ভেজাল নির্মল উন্মুক্ত আকাশকে, ব্যস্ততার ভিড়ের শ্রান্তির ডরমিটরির আড্ডাগুলোকে, বিপত্তির দিনের বন্ধুত্বের পরশগুলোকে, গড়ে ওঠা ক্যারিয়ারের বুনটগুলোকে, সত্যিই গত হয়ে যাওয়া নিশ্চিন্তের স্বর্ণালী দিনগুলোকে ।।।
সবাই_ভালো_থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন"।
প্রাসংঙ্গত : সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম প্রশাসন ক্যাডারের অফিসার হলেও সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলেন। কেউ কোন কাজে গেলে তার কথা ধৈয্য ধরে শোনেন এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন।প্রকৃত পক্ষে একজন সাদা মনের মানুষ তিনি।
তিনি সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামালের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রির হোটেল, ইটের ভাটা, অবৈধ যানবাহনে মোবাইল কোর্ট,আমে ফরমালিন মিশানো আড়তে, চিংড়িতে পুস করার অপরাধে দিনের পর দিন অভিযান চালিয়ে জেলা ব্যাপি প্রশংসা অর্জন করেছেন।