সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম সনাক্তকৃত COVID-19 আক্রান্ত ব্যক্তির নিকট থেকে যেন অন্য কেউ আক্রান্ত না হয় সেজন্য সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।রবিবার সকাল থেকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিনের তত্বাবধানে ও সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে রবিবার বেলা ১২ টার দিকে শহরের সঙ্গীতা মোড়ে এসআই রইচ উদ্দিন, এএআই আই রাশেদ ও ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই চেকপোস্ট অভিযান পরিচালনা করেন।
চেকপোস্ট অভিযানে রাস্তায় বিনা কারনে কাউকে চলাফেরা করতে দেখলে তাকে পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরার মুখে।চেকপোস্টেে কোন সন্তোষ জনক উত্তর দিতে না পারলে চেকপোস্টেের অপর ইউনিট ট্রাফিক পুলিশ মটরসাইকেল চালকদের ডি/এল, ইন্সুইরেন্স সহ আনুসাঙ্গীক কাগজ পত্র দেখতে চান।এ সময় যারা বাইকের সকল পেপার্স দেখানে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের নামে করা হয়েছে নতুন আইনে মামলা।দিনভর সঙ্গীতা মোড়ে এমন চেকপোস্টেের কারনে মানুষের চলাচল ছিলো বেশ কম।
চেকপোস্টে দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর রইচ উদ্দিন প্রতিবেদক কে বলেন আমরা এতো প্রচার প্রচারণা করছি,এসপি স্যার বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন তারপরেও কিছু মানুষ বিনা কারনে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে।তিনি বলেন আমরা কোন ভাবেই এদের কে আটকাতে পারছিনা তারা বিভিন্ন অযুহাতে বাহিরে ঘুরছে।এসআই রইচ উদ্দিন আরো বলেন যারা বাহিরে এসে বিনা কারনে ঘোরাঘুরি করেছে তাদের এমন ৩ জন কে শাস্তি স্বরুপ ৩০ মিনিট করে পুলিশের সাথে দায়িত্ব পালন করতে বলেছি।এছাড়া তাদের কে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে পুনরায় তাদের কে অকারণে রাস্তায় দেখলে আটক করা হবে।
পরে একই দিন দুপুরে উত্তর কাটিয়া, সাতক্ষীরা এলাকায় 24/7 চলছে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিনের নেতৃত্বে কঠোর পুলিশি তৎপরতা।উত্তর কাটিয়া এলাকায় সন্ধার পর তেমন কোন লোকজন দেখা যায় নি। কাটিয়া ফাড়ির আইসি ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির চারিপাসে লক ডাউন পরিস্থিতি মনিটরিং করেন সাথে সাথে তিনি পুলিশ সুপারের পাঠানো বস্তাভর্ত্তি খাদ্য সামগ্রী ঐ লক ডাউন পরিবারের কাছে দিয়ে আসেন এবং ১৪ দিনের আগে তাদের কে ঘর থেকে বেরোনা সম্পুর্ন নিষেধ বলে সতর্ক বার্তা প্রদান করেন কাটিয়া ফাড়ির আইসি পরিদর্শক মিজানুর রহমান।