অবাধ-সুষ্ঠ ও নিরাপেক্ষ পৌর নির্বাচন উপহার দিলেন সাতক্ষীরার এসপি মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার। গতকাল কাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩৭টি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।ভোট কেন্দ্রে এতো বেশি নিরাপর্ত্তা বেষ্টনী ছিলো যে সরকারী দল/বিরোধী দলের কোনো নেতা কেন্দ্রে এসে ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ পান নি।যে সব নেতাদের কেন্দ্রে ডুকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দেন নি তারা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নামে মিডিয়া কর্মীদের ক্যামেরার সামনে উল্টোপাল্টা কথা বলে পুলিশের ভাবমুর্ত্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে।ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটার রা জানিয়েছেন,এত সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পারবো এটা কখনো কল্পনা করতে পারিনি।ভোটাররা নিজের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পেরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।ভোটে কে জয়ী হয়েছে বা কে হেরেছে এটা নিযে জনগণের কোনো আপসোস নেই। কারন নির্বাচন হয়েছে ১০০% ফেয়ার ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল :নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী চাসকিন আহমেদ চিশ্তি পেয়েছেন ২৫০৮৮ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু পেয়েছেন ১৩২২১ ভোট।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ নাসেরুল হক পেয়েছেন ১৩০৫০ ভোট এবং জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নুরুল হুদা পেয়েছেন ২৮৮৮ ভোট।
এছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মুস্তাফিজুর রউফ পেয়েছেন ১৬৭৯ ভোট। এদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসন-১ এ ১১৮৮০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নূরহজাহান বেগম। তার নিকটকম প্রতিদ্বন্দ্বী জোৎ¯œা আরা পেয়েছেন ৫৮৬৮ ভোট। সংরক্ষিত ২ নং আসনে অনিমা রানী মন্ডল ৫৪২৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদা আক্তার বানু পেয়েছেন ৪১৮৯ ভোট। অন্যদিকে ৩ নং সংরক্ষিত আসনে ৭০২৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন রাবেয়া পারভিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারাহ্ দিবা খান সাথী পেয়েছেন ৬৯৫৪ ভোট। এই তিনটি আসনে পরাজিত প্রার্থী তাজিনা আক্তার পেয়েছেন ১২৭০ ভোট, মরিয়ম পারভিন পেয়েছেন ৩৭০৭ ভোট, রওশন আরা পেয়েছেন ৩৬৯৮ ভোট এবং গুলশান আরা পেয়েছেন ১২১৯ ভোট, রুবিনা জামান খান চৌধুরী পেয়েছেন ৩৯৬০ ভোট এবং শাহিদা আক্তার পেয়েছেন ৪৯৫ ভোট।
এদিকে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী কাউন্সিলর পদে ১ নং ওয়ার্ডে ২০০৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন কায়সারুজ্জামান হিমেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিদ হাসান পেয়েছেন ১৮২০ ভোট। ২ নং ওয়ার্ডে সৈয়দ মাহমুদ পাপা ৪৭১২ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আহসানুল কাদির স্বপন পেয়েছেন ১৫৭৯ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে ২৫৮০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন আইনুল হক নান্টা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ ইব্রাহিম পেয়েছেন ১৫৬৪ ভোট। ৪ নং ওয়ার্ডে কাজী ফিরোজ হাসান ২৮১১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আহাদ আহম্মদ পেয়েছেন ১৪০৪ ভোট। ৫ নং ওয়ার্ডে ১৭২৬ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ার হোসেন মিলন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর রহমান পেয়েছেন ১৬৯৪ ভোট। ৬ নং ওয়ার্ডে ২৬৪৮ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মারুফ আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ২৬৩৯ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ডে ৩২৩৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন কালু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আনারুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮২১ ভোট। ৮ নং ওয়ার্ডে ৪৫৪৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন শফিকুল আলম বাবু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ৯৭৫ ভোট। ৯ নং ওয়ার্ডে শেখ শফিকুদ্দৌলা সাগর ৩৭৪৬ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিল্লুর রহমান পেয়েছেন ৩২২৮ ভোট। জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ নাজমুল কবির বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষনা করে জানান, যথা সময়ে সরকারিভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষনা করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,ভোট কেন্দ্রে মাইক্রবাসে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী এসে উমুক দলের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে চায় এবং পুলিশ কে অবৈধ সুবিধা দিয়ে কেন্দ্র দখল করতে চায়। এসময় ঐ পুলিশ কর্মকর্তা তাদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিলে বাধে বিপত্তি।পরে জেলা নির্বাচন কমিশনের উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক সন্ত্রাসী দের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।পরে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে বের হয়ে পুলিশ ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নামে সাংবাদিক দের কাছে মিথ্যা তথ্য দিতে থাকে।ঐ পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান,নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করার পর থেকেই জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে চলে যায়। তখন আর আমরা নির্বাচন কমিশন ছাড়া কারো কথা শুনতে পারি না।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন