মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে প্রিয়া সাহার দেয়া তথ্য মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, প্রিয়া সাহার তথ্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত সপ্তাহে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিজের অফিসে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে প্রিয়া সাহা নামে এক নারী ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।
তিনি বলেন, এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটের বিবৃতিতে বাংলাদেশি ওই নারীকে মিসেস সাহা পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া প্রিয়া সাহার ওই অভিযোগের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার, প্রিয়া সাহার অভিযোগ সত্য নয় বলে গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রিয়া সাহার তথ্য অসত্য ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। বাংলাদেশে আসলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া তিনি যেসব তথ্য দিয়েছেন অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।