বৃহস্পতিবার সকালে রহিম মিয়া(ছদ্ম নাম) সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স গেটে হাজির হয়।এসময় গেটের চেকিং পুলিশ সদস্যগণ রহিম মিয়াকে প্রশ্ন করেন আপনি কোথায় যাবেন?রহিম মিয়া তখন উত্তর দিয়ে বলেন এসপি স্যারের কাছে আমার দরকার ।গেটে দাড়ানো দুই পুলিশ সদস্য তার কথা শুনে হতবাক!!
যাই হোক এক পর্যায়ে রহিম মিয়া পুলিশ সুপারের কক্ষে পৌছে যান। কক্ষে প্রবেশ করেই রহিম মিয়া পুলিশ সুপার কে সালাম দিয়েই কেঁদে ফেলেন।এসময় পুলিশ সুপার রহিম মিয়াকে বলেন,, আপনি কাঁদবেন না প্লিজ!!আপনার কি সমস্যা সেটা বলেন।
রহিম মিয়া পুলিশ সুপার জনাব মোঃসাজ্জাদুর রহমান বিপিএম কে বলেন স্যার, আমি লোকমুখে শুনেছি আপনি অনেক দয়াবান পুলিশ অফিসার।পেপার পত্রিকায় দেখেছি আপনি জজকোর্ট এলাকায় এক অসহায় নারীকে মুদি খানার দোকান করে দিয়েছেন।সেই দোকান চালিয়ে তারা এখন স্বচ্ছল ভাবে জীবনযাপন করছেন।রহিম মিয়া বলেন,স্যার আমি খুব গরীব ও অসহায়।আমার ছেলে-মেয়েরা স্কুলের বেতন দিতে পারছেনা।তাদের লেখা পড়ার খরচ আমি দিতে পারছিনা।যেটা টাকা আমি আয় করি তাতে আমার সংসার চলেনা ভালোভাবে তাতে আবার ছেলে-মেয়ের পড়াশুনার খরচ দিবো কিভাবে!!
রহিম মিয়ার দুঃখ কষ্টের কথা শুনে এসময় পুলিশ সুপার আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং অসহায় রহিম মিয়া(ছদ্ম নাম)কে একটি ভ্যান গাড়ি কিনে দেন।রহিম মিয়া ভ্যান পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। ভ্যান হস্তান্তরের সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃআলী আহমেদ হাশমী উপস্থিত ছিলেন।অসহায় রহিম মিয়া ভ্যান টি পেয়ে পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাথে সাথে পুলিশ সুপারের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।