★★★★
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো এক মেধাবী ছাত্রীর বাল্য বিবাহ। শুক্রবার (৯মার্চ) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্য বিবাহের প্রস্তুতি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি এ বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন। একই সাথে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের আয়োজন করবেন না মর্মে অঙ্গিকারনামা নেন মেয়েটির অভিভাবকের কাছ থেকে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা পৌরসভার সুলতানপুর ঝিলপাড়ায় নেছার আলীর বাড়ীতে দ্যা পোল স্টার পৌর হাইস্কুলে ৮ম শ্রেণী পড়–য়া শিক্ষার্থীর সাথে কাজী আব্দুল কাদেরের ছেলে কাজী আবু তাহের (লালন) এর বাল্য বিবাহের প্রস্তুতি চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তগমিনা খাতুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ বাল্য বিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেন এবং অঙ্গিকারনামা নেন। মেয়ের বয়সের পরিচয় গোপন রাখতে টিকা কার্ড. সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধন কার্ডে ভিন্ন ভিন্ন জন্ম তারিখ লক্ষ্য করা যায়। গ্রহণযোগ্য সনদ হিসেবে মেয়ের জন্ম তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০০২। ফলে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আয়োজন করবে না বলে অঙ্গিকারনামা নেন মেয়ে, মেয়ের পিতা নেছার আলী, মেয়ের মাতা রাবেয়া খাতুন, ছেলে কাজী আবু তাহের (লালন) ও ছেলের পিতা কাজী আব্দুল কাদের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, এড. আজহারুল ইসলাম, কাজী মনিরুজ্জামান মুকুলসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন আপডেট সাতক্ষীরা কে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি বন্ধ করেছি। এখন দেখার বিষয় মেয়েটির শিক্ষাজীবন রক্ষা পায় কি না। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। আমরা এটাও চেষ্টা করছি তাকে যেনো অন্যত্র নিয়ে ১৮ বছর না হওয়ার আগে গোপনে বিয়ে দেয়া না হয়। তাকে বাল্যবিয়ের ঝুঁঁকিতে থাকা মেয়ে হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আসুন আমরা আমাদের মেয়ে শিশুদের শিক্ষা প্রাপ্তি নিশ্চিত করি। তাদের অপরিণত বয়সে বিয়ের দেয়ার চেষ্টা না করি। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা যেনো তাদের গড়তে সহায়তে করতে পারি।উক্ত বাল্য বিবাহ বন্ধ করার লক্ষে ভ্রাম্যমান আদালত কে সার্বিক ভাবে সহযোগীতা করেন,সাতক্ষীরা থানার চৌকশ পুলিশের একটি টিম।