পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঘটতে পারে—এ রকম আতঙ্কিত হওয়ার কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূল এলাকায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এর আগে তিনি পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে রমনা পার্ক এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
র্যাবের ডিজি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার কোনও তথ্য নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আমাদের নিরাপত্তা যথেষ্ট। আমাদের সদস্যরা কাজ করছে। যেকোনও জায়গা থেকে যখনই কোনও তথ্য আসবে, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবো।’
নিরাপত্তার কড়াকড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি, বিভিন্ন ধরনের নাশকতা হয়েছে। তাই আমরা সবসময় সবকিছু মাথায় রেখেই প্রস্তুত থাকি। কিছু ঘটার আশঙ্কা থাকলেও নিই, কোন কিছু আশঙ্কা না থাকলেও প্রস্তুত থাকি।’
সারাদেশেই অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে বরাবরের মতোই র্যাব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় রয়েছে। আমরা সভা করছি, সারাদেশেই একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যাতে সব অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে পারে সে জন্য র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’
র্যাব ডিজি বলেন, ‘পহেলা নববর্ষ একটি সার্বজনীন উৎসব। এটি জাতীয়ভাবে পালিত হয়। এটি প্রাণের আয়োজন। সবাই মিলে এই উৎসবে মিলিত হই।’
তিনি বলেন, ‘গত দুবছর ধরে মহামারির কারণে এই প্রাণের উৎসব করতে পারিনি। তবে এবার সীমিত হলেও আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, দেশবাসী সবাই এই অনুষ্ঠানে মিলিত হবে।’
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে র্যাব ফোর্সেস নিরাপত্তা বলায় তৈরি করেছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব জায়গায় র্যাবের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
অনুষ্ঠান স্থলে র্যাবের বোমডিস্পোজাল টিম, ডগ স্কয়ার, ওয়াচ টাওয়া, টহল ফোর্ট, মোটরসাইকেল ফোর্স ও সাদা পোশাকে র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এছাড়াও র্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায়।
সারাদেশেই আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানান র্যাব ডিজি।
ডিএমপি কমিশনার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বন্ধুরাষ্ট্রগুলো জঙ্গিদের তৎপরতার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশকে।’ তবে র্যাবের ডিজি জানিয়েছেন, তাদের কাছে জঙ্গি হামলা, নাশকতার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই।