অদ্য ১৯ মার্চ ২০১৯ তারিখ ১১.৩০ ঘটিকায় খুলনা মহানগর পুলিশের আয়োজনে খুলনা সদর থানা চত্ত্বরে খুলনা মহানগরীর খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানাধীন আবাসিক হোটেলসমূহের মালিক ও ম্যানেজারদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার জনাব সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম এঁর সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভার কার্যক্রম শুরু হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিসি (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্, ডিসি (ডিবি) জনাব বি,এম, নুরুজ্জামান বিপিএম, জনাব এম.এম. শাকিলুজ্জামান, এডিসি (দক্ষিণ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), জনাব শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, এডিসি (আরসিডি) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), এসি (ডিবি) জনাব মোঃ আরিফুল ইসলাম, এসি (ডিবি) জনাব এসএম কামরুজ্জামান পিপিএম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (সোনাডাঙ্গা জোন) জনাব মোঃ আবুল খায়ের ফকির, , অফিসার ইনচার্জ (খুলনা থানা) জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির, অফিসার ইনচার্জ (সোনাডাঙ্গা থানা) জনাব মোঃ মমতাজুল হক, ওসি (ডিবি) এমএম মিজানুর রহমান, কেএমপি’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব এসএম হাবিব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জনাব মুন্সী মাহাবুবুল আলম সোহাগ, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নেতৃবৃন্দ, খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানাধীন আবাসিক হোটেলসমূহের মালিক ও ম্যানেজারবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
এসময় কেএমপি কমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন ,নগরীর কোন আবাসিক হোটেলে আকাম-কুকাম করা যাবেনা। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ খুলনা মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন, পবিত্র ও মডেল নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিহাদ ঘোষণা করেছি। নগরীর সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে দালালমুক্ত করে যথাযথ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। নগরীর আবাসিক হোটেলসমূহ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি যাতে মাদকের আখড়া এবং অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত না হয় তার জন্য কেএমপি’র পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নজরদারী করা হচ্ছে। হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি মাদক, দেহ ব্যবসাসহ অন্যান্য অসামাজিক কার্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। কোন হোটেল কর্তৃপক্ষ অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকলে উক্ত হোটেলের মালিক ও ম্যানেজার সমানভাবে দায়ী থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধেও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ বাদ দিয়ে যারা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নিয়মনীতি প্রতিপালন করে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করবেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কেএমপি’র পক্ষ থেকে তাদেরকে সবরকমের সহায়তা প্রদান করা হবে। পরিশেষে সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও বাসযোগ্য খুলনা মহানগরী গড়ে তোলার লক্ষে হোটেল মালিক ও ম্যানেজারদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে মতবিনিময় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।