আহসান রাজিব(যমুনা টেলিভিশন ):
বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যার প্রভাবে দেশের সবগুলো সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া পুর্বাভাসে জানানো হয় নিন্মচাপের প্রভাবে আগামী কয়েকদিন সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার (৮ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
নিন্মচাপটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করছে। এটি ‘তিতলি’ নামে খুলনা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। বর্তমানে এটি মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০১ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপ ও বুধবার (১০ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এটি ভারতের ওড়িষ্যা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, সৃষ্ট নিন্মচাপটি আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ (১১ অক্টোবর) মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের খুলনা সাতক্ষীরার যে কোনো স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।