দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা খুব দ্রুত জানা যাবে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশা করি জটটা খুলবে এবং আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। এসময় জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএনওর বাসায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যে দুজন দুর্বৃত্তৃতাদের মুখে মুখোশ ছিল এবং সেগুলো দেখে পর্যালোচনা চলছে, ওখানে হাই পাওয়ার্ড টিম কাজ করছে। পুলিশের চৌকশ একটি টিম কাজ করছে। তারা আশাবাদী যে খুব দ্রুত আমাদের জানাতে পারবেন কারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে, আমরা অপেক্ষা করছি।’
বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে করে ঢাকায় এনে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইউএনওর চিকিৎসার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, ‘ইউএনও ওয়াদিহা খানমের সব থেকে ভালো চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল সব থেকে ভালো। যা যা করা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সেটি করছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শত্রুতাবশত মনে করলে সে একা আক্রান্ত হত, কিন্তু তার পিতাও আক্রান্ত হয়েছেন। ডাকাতির উদ্দেশ্যে বা এরকম কিছুও হতে পারে। আমরা অপেক্ষা করছি, অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশা করি জটটা খুলবে এবং আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পারিবাহিক শত্রুতা মনে হচ্ছে না, তবে তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমরা জিজ্ঞেস করেছি, কোনোকিছু খোয়া গেছে কিনা, এখনও জানা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে।
উল্লেখ্য, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। আর ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।