পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেন, ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা ও হামলা মোকাবিলায় র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও কমান্ডো টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে র্যাব ডিজি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা, সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে ঈদকে ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না।
র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বিপণীবিতানে এই মুহূর্তে জনসমাগম বেশি হচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। শপিং মল, বিপণীবিতান ও জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ঈদগাহের নিরাপত্তার বিষয়ে র্যাব ডিজি বলেন, রাজধানী ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে (জাতীয় ঈদগাহ, শোলাকিয়া ঈদগাহ ও দিনাজপুর বড় ঈদগাহ) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঈদগাহে ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের মাধ্যমে সুইপিং করা হচ্ছে। সিসিটিভি কাভারেজ থাকবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে টহল পরিচালনা করা হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে ভার্চুয়াল জগতে গুজব, উস্কানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম কাজ করছে উল্লেখ করে ডিজি বলেন, ভার্চুয়াল জগতে গুজব ও অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, দেশব্যাপী ঈদ উদযাপন উপলক্ষে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, অবজার্ভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও এয়ার উইং (হেলিকপ্টার) সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব প্রধান বলেন, ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগম স্থানে র্যাব কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি র্যাব সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, সড়ক, রেল এবং নৌ-পথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও হয়রানি, অজ্ঞান অথবা মলম পার্টি, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাই রোধে অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, র্যাব সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বরের (০১৭৭৭৭২০০২৯) মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে।