সাতক্ষীরা জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন।তিনি প্রশাসন ক্যাডারের ১৩ তম বিসিএস ক্যাডার ও এপ্লাইড ফিজিক্স এর জিনিয়াস ছাত্র ছিলেন।
সাতক্ষীরাতে তিনি এসেছেন মাত্র ১ বৎসরের মত সময়।এত অল্প সময়ে তিনি সাতক্ষীরার গনমানুষের মন জয় করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।সদালপি ও হাস্যজ্জল মানুষ টি কখনও ধৈয্যহারা হন না।সকলের অভিযোগ তিনি মনকান দিয়ে ধৈয্য করে শোনেন এবং সাথে সাথে তিনি সমস্যা গুলো সমাধান করে দিয়ে থাকেন বলে জনস্রুতি রয়েছেন।
সাতক্ষীরার নির্মানাধীন ডিসি ইকোপার্কের বুলেট ট্রেন লাইন উদ্বোধন করে তিনি সাতক্ষীরার কোমলমতি শিশুদের মন কেড়েছেন।ডিসি ইকোপার্ক ছাড়াও ভোমরা বন্দরে তিনি জেলা প্রশাসক সেবাকুঞ্জ নামে একটি বিল্ডিং নির্মান করেছেন।যেটার কাজ বর্তমানে চলমান।খুলনা সহ বিভিন্ন এলাকার সরকারী অফিসার বৃন্দ পাসপোর্টে ইন্ডিয়া যাওয়ার সময় ঐ সেবাকুঞ্জু বসে একটু বিশ্রাম নিয়ে চলে যেতে পারবেন।সম্প্রতি সাতক্ষীরা সদর এলাকায় এক নিঃসন্তান ভিক্ষুক দম্পত্তি কে সরকারী খরজে সদর উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় একটি গৃহ নির্মান করে,ভিক্ষুক দম্পতির হাতে ঘরের চাবী তুলে দিয়েছিলেন।যেটা মহত্বের নজির বিহিন দৃষ্টান্ত বলে সাতক্ষীরার মানুষ অনুভুতি ব্যক্ত করেছেন।
সম্প্রতি ফেইজবুকের পোষ্ট দেখে শিক্ষানুরাগী জেলা প্রশাসক এক মেডিকেলের ভর্ত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ন গরীব ও মেধাবী ছাত্রী কে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
এখানেই শেষ নয়।বিশ্বব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তা মনি’কে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছিলেন।
এক কথায় সাতক্ষীরার মানুষ এমন একজন মহৎ মনের সৎ ও দক্ষ জেলা প্রশাসক পেয়ে ধন্য।গতকাল ১৮/১১/২০১৭ তারিখ বিকালে সাতক্ষীরার ডিসি বাংলোতে জেলা প্রশাসনের সব অফিসার ও পরিবার কে দাওয়াত দিয়েছিলেন, বাংলোতে বনভোজন করবেন বলে।বনভোজনে অংশ গ্রহন করতে এসেছিলেন সবাই।বনভোজন অনুষ্ঠানে যে যার মত কাজে ব্যস্ত ছিলেন।হঠাৎ অতিথি’রা আসে পাসে তাঁদের ডিসি স্যার কে দেখছেন না।তাঁরা পুরো বাংলো খুজতে খুজতে পুকুরের কাছে গিয়ে দেখেন,তাঁদের শ্রদ্ধেয় ডিসি স্যার অতিথি দের জন্য নিজে হাতে জাল নিয়ে একটা বোর্টে দায়িয়ে মাছ ধরছেন।এদৃশ্য দেখা মাত্রই এডিসি জেনারেল মহোদয় সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আর দেরি করলেন না।তাঁরা নগতে একটা ছবি তুলে নিলেন তাঁদের শ্রদ্ধেয় ডিসি স্যারের।
উক্ত ছবিটি সাতক্ষীরার সিটিজেন জার্নালিস্ট Md Neyaz Zime নামের আইডি থেকে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার ব্যক্তিগত আইডি Abul kashem Md Mohiuddin এর টাইম লাইনে এ্যাড করে দেন।অল্প কিছুক্ষন যেতে না যেতেই ছবিটিতে লাইকের সংখ্যা দাড়ালো ১০০ প্লাস.আর কমেন্টের সংখ্যাও ছিল অনেক।তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে ছবিটি সাতক্ষীরার মানুষের হৃদয়ে ধারন করেছে।একজন জেলা প্রশাসক নিজে হাতে জাল টেনে মাছ ধরতে পারেন!!এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা কিন্তু বাস্তব সত্য।