
কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিরুত্তাপ ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলার ৫৯৭ কেন্দ্রে। সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে বিকাল চারটায় ভোট গ্রহন শেষ হয়।সকাল ১০ টায় জেলা রির্টানিং অফিসার এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মো:সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন।এসময় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, ভোটার, এজেন্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন জেলার দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।এসময় কেন্দ্রে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা ভোটার দের কাছ থেকে রির্টানিং অফিসার খোজখবর নেন।
সকালে ভোট কেন্দ্র গুলিতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার সংখ্যাও কিছুটা বাড়তে থাকে। বিকালে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে কিছুটা সংঘর্ষ হলে বেশির ভাগ স্থানো পরিবেশ ছিল শান্ত । সব কেন্দ্রের ভোটগ্রহন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীদের এবারের এ ভোটে অনেকটা অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
এদিকে, কলারোয়া উপজেলার বাটরা কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রতিকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আনারস প্রতিকের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দীনসহ তিন জন আহত হয়েছেন। আহতরা সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, সেখানে দ্রুত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
অপরদিকে, আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে জোর করে নৌকায় ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও ফুটেজে বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা জোর করে ব্যালটে সীল মেরেছে। এ উপজেলার খাজরা কেন্দ্রে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জানান, উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার ঘটনায় কিছু সময় ধরে ভোট গ্রহন বন্ধ রাখা হয়। এর আগে, বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু শনিবার রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দেবনাথের দ্রুত অপসারন দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওসি প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রভাবিত করে প্রতি কেন্দ্রে এক হাজার ব্যালটে নৌকার সিল মারার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারী কলেজ কেন্দ্রে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলেও পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।
সূত্র:ডেইলি সাতক্ষীরা ডটকম।