সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যদের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স সহ ০২ টি গাড়ী ও প্রয়োজনীয় ইকুপমেন্ট প্রদান সহ হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) প্রতিবেদক কে বলেন,আমরা সহায়ক টিম হিসাবে কাজ করবো।মানুষের যেকোন বিপদে আমরা পাসে দাড়াবো।আমাদের এই কুইক রেসপন্স টিমের সহযোগিতা জেলা প্রশাসক চাইতে পারেন, সিভিল সার্জন চাইতে পারেন আবার কোন করোনা প্রতিরোধ কমিটির টিম ও চাইতে পারেন।সুতরাং সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ মানুষের এই দুঃসময়ে জীবনের বাজি রেখে করোনা আক্রান্ত মানুষের পাসে থেকে তাদের কে সহযোগিতা করতে চায় ।
পুলিশ সুপার আরো বলেন,সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হেড কোয়ার্টার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমান।
একাধিক সুত্র জানায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ করোনা প্রতিরোধে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে জেলার আটটি থানার পুলিশ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল থেকে যারা কোয়ান্টাইনে আছে তাদের বাড়িতে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দিচ্ছেন কালিগঞ্জ থানা পুলিশ।
সাথে সাথে দেবহাটা থানা পুলিশ,শ্যামনগর থানা পুলিশ,তালা থানা পুলিশ, পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ,কলারোয়া থানা পুলিশ ও সাতক্ষীরা থানা পুলিশ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা মুলক লিফলেট মাইকিং ,মাস্ক বিতরণ ও সাবান বিতরণ করে যাচ্ছেন।এছাড়া জেলার প্রত্যেকটি থানায় প্রবেশের গেটে হাত ধৌয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। থানার দায়িত্বরত সেন্ট্রিরা সেবা নিতে আসা মানুষদের হাত না ধুয়ে থানায় প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। এতে করে করোনা ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জেলার প্রত্যেকটি চায়ের দোকানে কাঁচের কাপের পরিবর্তে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিকের কাপে চা বিক্রি করা হচ্ছে এবং চা খাওয়ার পরে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কাপ গুলি আলাদা একটি ঝুড়িতে ফেলে পরে সেগুলো মাটির তলে পুতে দেওয়া হচ্ছে অথবা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।সাতক্ষীরার সুশীল সমাজ পুলিশ সুপানের এমন পদক্ষেপ কে স্বাগত জানিয়েছেন।