দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানুষের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে ২০১৯ সালে দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যান ১৭৯ জন পুলিশ সদস্য। আজ ১ মার্চ ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ উপলক্ষ্যে ১৭৯ পুলিশ সদস্যের পরিবারবর্গকে সম্মাননা প্রদান করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।

পুলিশের কাজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, আমি দীর্ঘদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করছি বিধায় পুলিশের কাজকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। সামাজিক মুল্যবোধ যতো কমবে, অপরাধ যতো বাড়বে পুলিশের কাজের ঝুঁকি ততো বাড়বে। নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ বেড়েছে। এগুলো পুলিশকে মোকাবেলা করতে হয়। এখন প্রতিটি কাজে কিন্তু পুলিশকে লাগে। ধর্মীয় বলেন আর রাষ্ট্রীয় বলেন সব কাজে তাদের লাগে।

পুলিশের সকল অনুষ্ঠানের মধ্যে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ অনুষ্ঠানটি আবেগঘন উল্লেখ করে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বলেন, ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’তে প্রতিবছর ১ মার্চ দেশব্যাপী ও ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য পরম নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কর্তব্য পালনে নিহত পুলিশ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। দেশের যেকোন দুর্যোগে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব চরম ধৈয্য, নিষ্ঠা ও তাগ্যের সাথে পালন করছেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশের ১৭৯ জন সদস্যকে আমরা কর্তব্যরত অবস্থায় হারিয়েছি। দেশের জন্য তাদের ত্যাগ বাংলাদেশ পুলিশ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছে।

এছাড়াও আইজিপি বলেন, ইতিমধ্যে নিহত পুলিশ সদস্যদের ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। শহীদ পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা ও কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যের স্মরণে পুলিশের সকল স্থাপনা তাঁদের নামে নামকরণ করা হচ্ছে। আমরা নিহত পুলিশ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রাঙ্গণে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন স্বরাষ্ট্র সচিব ও মহা পুলিশ পরিদর্শক। এ সময় বিউগলের করুন সূরে সশস্ত্র সালাম দেয়ার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয় নিহত পুলিশ সদস্যদের। এর পর একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা। নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। তাঁদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। আলোচনা শেষে শহীদ পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন পুলিশ মহা পরিদর্শক। এসময় বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকাস্থ সকল ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

— ডিএমপি নিউজ ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন