বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরের অন্তর্গত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের (বীর) ‘ষষ্ঠ কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (০৩ অক্টোবর) রাজশাহী সেনানিবাসে শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে মনোমুগ্ধকর ও ঐতিহ্যবাহী এই অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে সেনাবাহিনী প্রধান ঐতিহ্যবাহী সামরিক রীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘রেজিমেন্ট অব দি মিলেনিয়াম’র অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে ‘ষষ্ঠ কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ পদাতিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করে আরও উদ্যমী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, কর্নেল অব রেজিমেন্ট হিসেবে আমার সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা থাকবে পদাতিক কোরের চলমান আধুনিকায়ন আরো তরান্বিত করা। নতুন সামরিক সরঞ্জাম সংযোজিত করে আরো উদ্যমী পদাতিক বাহিনী গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য হবে।
সেনাপ্রধান বলেন, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করাই সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য। আজকের অভিষেকের মাধ্যমে আমি আরও গভীরভাবে এই রেজিমেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারলাম।
‘একজন পদাতিক অফিসার হিসেবে চাকরি জীবনে আমি সর্বদায় আভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও উন্নতির জন্য কাজ করেছি। তাই কর্নেল কমান্ডার হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর আমার সার্বক্ষণিক ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা হবে রেজিমেন্ট অব দ্য মিলেনিয়ামের সব সদস্যদের নিয়ে রেজিমেন্টের উন্নয়ন ও নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।’
জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন বলেন, আমার উপর অর্পিত এই পবিত্র দায়িত্ব পালনকালে রেজিমেন্টের জন্য কল্যাণকর যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণে আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। রেজিমেন্টের অগ্রযাত্রাকে যুগোপযোগী করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন সেনাপ্রধান।
এর আগে প্যারেড স্কয়্যারে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধানকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয় এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের একটি চৌকষ দল তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এরপর বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাবাহিনী প্রধানকে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘কর্নেল র্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন।
পরে তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘বীর গৌরব’ এ পুস্পস্তবক অর্পন করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাসদর, আর্মি ট্রেনিং এ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, স্থানীয় ফরমেশন এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদবীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।