শেখ আরিফুল ইসলাম আশা:“দুর্নীতি করবো না, দুর্নীতি সইবো না” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে কলারোয়া ফুটবল মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সমাবেশ স্থল জনসমুদ্রে রুপ নেয়।
উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ডা.আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বিএম নজরুল ইসলাম। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব, উপজেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম মোরশেদ আলী, আ.লীগ নেতা অধ্যাপক এম.এ কালাম, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, উপজলো পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ নাজনীন খুকু, আ.লীগ নেতা ভূট্টোলাল গাইন, আলহাজ্ব শেখ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজদের গডফাদার সাবেক কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনকে গত নির্বাচনে জনগণ বিপুল ভোটে পরাজিত করেছে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে তিনি এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন কিন্তু জনগণ সেটা করতে দেবে না। স্বপন উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন চরম দুর্নীতি করে নিজের আখের গুছিয়েছেন। দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও স্বজনপ্রীতির কালোথাবায় উপজেলাকে গ্রাস করেছিলেন। নিজের শ্যালককে একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্ত্রীকে মহিলা আ.লীগের সভাপতি বানিয়েছেন। চাচাতো শ্যালককে প্রধান শিক্ষক বানানো পাশপাশি ভারপ্রাপ্ত মেয়র করেছেন। শুধু তাই নয়, সরকার যখন গুজবরোধে সচেতন হওয়ার আহবান জানাচ্ছেন তখন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে সেক্রেটারি পদ থেকে বহিষ্কারের গুজব রটিয়ে স্বপন তার চাচাতো শ্যালককে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি করেছেন বলে প্রচার দিচ্ছেন। দলীয় কাউন্সিলকে ঘিরে বিভিন্ন ইউনিয়নে চোরাই ও পকেট ওয়ার্ড কমিটি করে তিনি আরেক অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেছেন।
দুর্নীতিবাজদের কলারোয়ার মাটিতে স্থান নেই উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, ‘আজকে দুর্নীতি বিরোধী এই সমাবেশ স্বপন বিরোধী জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। খুনি মোশতাক ও দুর্নীতিবাজ স্বপনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার স্বাক্ষী স্বপন বিএনপির কাছ থেকে টাকা খেয়ে ‘ঘটনা ঘটেনি’ বলে স্বাক্ষী দিয়েছিলেন। তার সময়ে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও দুই নৈশ্যপ্রহরী হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বক্তারা এ সময় দুর্নীতিবাজ স্বপনকে কলারোয়া থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার ঘোষনা দেন।##