জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক ব্যবসায়ীর ডান হাতের চার আঙ্গুল কেটে নিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস ও তার সহযোগীরা।

শনিবার দুপুরে কলারোয়া উপজেলা সদরে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত ব্যবসায়ীর নাম জি.এম তুষার। তিনি কলারোয়া উপজেলার পাটুরিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে। আহতের বাবা মুনসুর গাজী জানান, কলারোয়া উপজেলা পাটুরিয়া গ্রামে ৩৩ শতক জমি নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ চলছিল জনৈক মন্টুদের সাথে। এরই জের ধরে দুপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসের নেতৃত্বে মন্টু, পলাশ, জুয়েলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীরা তুষারকে পিটিয়ে আহত করার এক পর্যায়ে রামদাঁ দিয়ে তার ডান হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে নেয় নাইস। তিনি আরো জানান গুরুতর আহত অবস্থায় তুষারকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আহত তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওসি আরো বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে ঘটনা শুনেই সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং আহত ব্যবসায়ীকে হেলিকাপ্টার ভাড়া করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।এবিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাদেক প্রতিবেদক কে জানান,ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত এবং অপ্রত্যাশিত। আমরা এমন জঘন্য ঘটনা কখনও আসা করিনি।তিনি জানান,কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারির দিক নির্দেশনায় কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে।পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আহত ব্যবসায়ীকে রক্ত দেওয়া থেকে শুরু করে আহতের যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহণ করছেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন