কারাগারে থাকা বহু বিবাহের হোতা খাজা নাজিমের স্বজন কর্তৃক খুন জখম ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন।

সাতক্ষীরায় নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারে থাকা বহু অপকর্মের হোতা খাজা নাজিম উদ্দীনের স্বজন কর্তৃক বাদী এবং তার পরিবারের সদস্যদের খুন জখম ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন, বর্তমানে ইটাগাছা এলাকার বাসিন্দা মমতাজউদ্দীনের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০০৭ সালে আমার বড় বোন মাছুমা খাতুন মুন্নার সহিত পারিবারিকভাবে মুনসিপাড়ার আনসার আলীর পুত্র খাজা নাজিম উদ্দিনের (নাজিম) সাথে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর বেশ কিছুদিন তাদের সংসার বেশ সুখের ছিলো কিন্তু কয়েক বৎসর যেতে না যেতে নাজিম উদ্দিন বাড়ি নির্মান করবে বলে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন শ্বশুরে নিকট। মমতাজ উদ্দীন মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার জামাতা নাজিম উদ্দিন কে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। সেই টাকা নিয়ে খাজা নাজিম উদ্দিন শহরের মুনসিপাড়া এলাকায় তিনকাঠা জমির উপরে একটি একতলা বাড়ি তৈরি করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৮ বৎসরের একটি ফুটফুটে সন্তান ও আছে। যার নাম রিমন। কিন্তু ফুটফুটে সন্তান ও স্ত্রী রেখে নারীলোভী নিজাম উদ্দিন পুনরায় বিবাহ করে। দীর্ঘ তের বৎসর আমার বোনের সাথে সংসার করা কালে ৬ মাস পর অথবা এক বৎসর পরপর একটি করে বিবাহ করে। তিনি বলেন এ পর্যন্ত তার স্বামী নিজাম উদ্দিন (প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে) এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬ টি বিবাহ করেন।
কয়েক মাস আগের থেকে পুনরায় সে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে দাবী করে। টাকা দিতে অপারগতা জানালে শুরু হয় আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন। হাতের কাছে যা পেতো তাই দিয়েই নিজাম উদ্দিন আমার বোনকে মারতো। কোথায় লাগে তা দেখতো না। একপর্যায়ে সে কয়েক মাস আগে ফাতমা খাতুন নামক তার মামাতো বোন কে আমার অনুমতি ছাড়াই সে বিয়ে করে মাগুরার তালতলার বাড়িতে বসবাস করে। এক পর্যায়ে গত ০৭/০৫/২০২০ তারিখে আমার বোনকে দরজার হাক দিয়ে মেরে পুরো শরীর রক্তাক্ত জখম করে দেয় পরে বোন শহরের জজ কোর্ট মোড়ের সামনে থেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের চেম্বার থেকে চিকিৎসা নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে আসে। চিকিৎসক হসপিটালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও মানসন্মানের ভয়ে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গ্রহণ করে। গত ১৬/৫/২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তাদের সংসার টিকিয়ে রাখতে। এক পর্যায়ে আমার পিতা ও ভাইয়ের পরামর্শ মোতাবেক লম্পট স্বামী খাজা নিজাম উদ্দিনের (নাজিম) বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। যার নং ২৬, তারিখ: ১৩/০৮/২০২০। পরে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এঘটনায় লম্পট খাজা নাজিম উদ্দীনের আতœীয় স্বজন এবং সহযোগিরা আমার বোন এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের খুন জখমসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
নাজিম শহরের চিহ্নিত দালাল। সে কারণে জেলার অপরাধী চক্রের সাথে তার রয়েছে সুসম্পর্ক। নিজের নিদৃষ্ট কোন পেশা না থাকলেও শহরের বিভিন্ন মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আবার তাদের ওই মামলা থেকে রক্ষার নামে হাজার হাজার টাকা আদায় করে। আমি ওই লম্পট নাজিমের হাত রক্ষা থেকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন