★★★★
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ শনিবার খুলনা সফরে আসছেন। তিনি আজ বিকেল তিনটায় খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। তার আগে বেলা ১১টায় শেখ হাসিনা নগরীর খালিশপুরস্থ আইইবি কেন্দ্রে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৫৮তম কনভেনশন উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে নগর ও জেলায় সাজসাজ রব বিরাজ করছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নগরীতে অসংখ্য তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা নগরী। প্রধানমন্ত্রী জনসভার পূর্বে মঞ্চের পাশে তৈরি করা একটি বোর্ডে সুইচ টিপে ২ হাজার ৪১ কোটি টাকার ৯৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এর মধ্যে ৬৭৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ৪৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১ হাজার ৩৩৬ কোটি ৪ লাখ টাকার ৫২টি নতুন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করা হবে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান পরিবর্তন ডটকমকে জানান, জনসভামঞ্চে ২৬০ জন নেতা বসবেন। প্রথম সারিতে ৩০ জন, দ্বিতীয় সারিতে ৩০ জন এবং শেষ সারিতে ১০০ চেয়ার বসানো হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১০ লাখেরও বেশি লোকের সমাবেশ ঘটানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেয়া হয়েছে সার্কিট হাউজ ময়দান এলাকা। তিনটি স্থানে ২৪টি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো মাঠকে।
খুলনা রেজ্ঞের ডিআইজি জনাব মোঃদিদার আহম্মেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে সমগ্র খুলনা মহানগরী।
তিনি জানান, জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আগত অতিথিদের নিরাপত্তার জন্য সাড়ে তিন হাজার পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সার্কিট ময়দানে নৌকার আদলে তৈরি সুবিশাল মঞ্চ থেকে জনসভায় ভাষণ দেবেন। খুলনার ইতিহাসে বিশাল এবং ব্যয়বহুল মঞ্চ নির্মাণ এবারই প্রথম।
১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রশস্ত এই মঞ্চ তৈরির কাজ শুক্রবার শেষ হয়েছে। সুবিশাল মঞ্চ তৈরি করতে প্রায় ৯ দিন লেগেছে বলে জানা গেছে।