টুরিস্ট পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে তাদের মধ্যে মানবীয় গুণাবলী জাগ্রত করতে হবে।
অতিরিক্ত আইজিপি আজ সকালে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কনফারেন্স রুমে ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মরত সদস্যবৃন্দের কৃতি সন্তানদের মাঝে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান তথা আইজিপি কর্তৃক ঘোষিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধা বৃত্তি- ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইলিয়াছ শরীফ, বিপিএম (বার), পিপিএম, ডিআইজি ট্যুরিস্ট পুলিশ ঢাকা, আবু সুফিয়ান অতিরিক্ত ডিআইজি, ট্যুরিস্ট পুলিশ ঢাকা-সিলেট- ময়মনসিংহ ডিভিশন ও সরদার নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার (প্ল্যানিং এন্ড অপারেশন)।
অনুষ্ঠানে বিধান ত্রিপুরা পিপিএম (বার) অতিরিক্ত ডিআইজি ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহী-রংপুর ডিভিশন, মোঃ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), মোছাঃ ইয়াছমিন খাতুন, পুলিশ সুপার (ট্রেনিং এন্ড ওরিয়েন্টেশন), মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, পুলিশ সুপার (লজিস্টিকস এন্ড ডেভেলপমেন্ট), মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা, পুলিশ সুপার (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া), সৈকত শাহীন, পুলিশ সুপার, ঢাকা রিজিয়ন, মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, পুলিশ সুপার বান্দরবন রিজিয়ন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কৃতি শিক্ষার্থীগণ ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, চাকুরী পাওয়াই আমাদের লেখাপড়ার মূল উদ্দেশ্য নয়। শিক্ষা ৩ ধরনের হয়- আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা। তোমাদের আজ যে শিক্ষার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে সেটা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা। এটা ঠিক যে বহি বিশ্ব সহ আমাদের দেশের মানুষের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সার্টিফিকেট দরকার হয়। সেই সার্টিফিকেট আমাদের চাকরি পাওয়ার জন্য দরকার হয়। একটি ভালো সার্টিফিকেট নিয়ে আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যাজিস্ট্রেট, এসপি, ফরেন অফিসার ইত্যাদি হয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ সৃষ্টি করা। নিজের মধ্যে মানবীয় গুণাবলী ধারণ করা। এর মধ্যে পরে দেশপ্রেম, পরার্থপরতা, প্রকৃত সামাজিকতা ইত্যাদি।
অতিরিক্ত আইজিপি শিক্ষার্থীদের মনুষত্ববোধের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। মানুষের সাথে আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি তাঁর বক্তব্যে আরও তুলে ধরেন তোমরা সবাই গর্ববোধ করতে পারো যে তোমার বাবা/মা একটি পবিত্র চাকরি করেন। আসলে চাকরী নয় এটা একটি সেবা। কারণ রাত তিনটার সময় একজন মানুষ বিপদে পড়লে তোমার বাবা/মা দৌড়ে চলে যান। পুলিশ সদস্য মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আমাদের এখান থেকেই কেউ না কেউ বিখ্যাত হবেন তাদের নিয়ে আমরা গর্ববোধ করব।অতঃপর তিনি উপস্থিত সকলের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন।পরে প্রধান অতিথি মেধা বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন।