সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি): খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এলাকায় যাত্রা শুরু হল ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেম। এর ফলে সহজেই ট্রাফিক পুলিশ অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে যানবাহনের মালিকের পরিচয়, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, চেসিস নম্বর, ফিটনেস, ইনস্যুরেন্স চিহ্নিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে মামলা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে মামলা দেওয়ার পর কেস স্লিপ দিয়ে গাড়ির কাগজপত্র আটকে রাখা হবে না এবং জরিমানার টাকা নিকটস্থ ইউ ক্যাশের মাধ্যমে পরিশোধ করার সুযোগ থাকবে। তবে জরিমানার টাকা সাথে সাথে আদায় না হলে গাড়ির কাগজপত্রসহ যানবাহন আটকে রাখা হবে। পরবর্তীতে ইউ ক্যাশের মাধ্যমে জরিমানা দেওয়ার পর কাগজপত্র বা যানবাহন ফেরত দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার নগরীর শিববাড়ি মোড়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। অনুষ্ঠানের সভপতিত্ব করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির।অনুষ্ঠানেে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম,খুলনা জেলা পুলিশ সুপার জনাব এস এম শফিউল্লাহ,বিআরটিএ’র উপ- পরিচালক জিয়াউর রহমান বাবু  সহ কেএমপির অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ।     

প্রাথমিকভাবে নগরীর ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এই যন্ত্র ব্যবহার করবে ট্রাফিক পুলিশ।
এগুলো হচ্ছে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড়, ময়লাপোতা মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলার মোড়, পাওয়ার হাউস মোড়, শিববাড়ি মোড়, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল মোড়, গল্লামারী মোড়, জোড়াগেট ট্রাফিক অফিসের সামনে এবং দৌলতপুর ট্রাফিক মোড়। পরবর্তীতে নগরীর ফুলবাড়িগেট, জিরোপয়েন্ট, রূপসা সেতুর নিচে, বয়রা, নিউমার্কেট, নতুন রাস্তাসহ ৭টি পয়েন্টে যন্ত্র দেওয়া হবে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, এই পদ্ধতিতে যানবাহন মালিকদের সময় বাঁচবে এবং ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা তৈরি হবে। খুব সহজেই যানবাহনের মালিকের পরিচয়, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, চেসিস নম্বর, ফিটনেস, ইনস্যুরেন্স চিহ্নিত করা যাবে। জরিমানা ইউ ক্যাশের মাধ্যমে দেওয়া যাবে। এছাড়া কোনো যানবাহন মালিক তাৎক্ষণিক জরিমানা দিতে না পারলে পরবর্তীতে দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুল হক জানান, কেএমপি’র জন্য ৪০টি ডিভাইস এসেছে। প্রাথমিকভাবে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পয়েন্টে ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা হবে। পরবর্তীতে আরও পয়েন্টে ব্যবহার বাড়বে। এর ফলে ভুয়া কাগজ দিয়ে গাড়ি চলাচল কমে যাবে, স্বচ্ছতাও বাড়বে। ডিএমপি, সিএমপি, ঢাকা জেলা, কুমিল্লা জেলা, গোপালগঞ্জে এই ডিভাইসের ব্যবহার রয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন