করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন দায়িত্বে যুক্ত করা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। তবে পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) ছাড়াই এসব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে সাতক্ষীরার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা ব্যাপি বিরামহীন ভাবে কাজ করছে জেলা পুলিশের একাধিক টীম।তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ এঁর নেতৃত্বে ডিএসবির সহকারী পুলিশ সুপার মোঃসাইফুল ইসলাম, ডিবির ওসি মোঃ মহিদুল ইসলাম,ডিবির পরিদর্শক হারাণ চন্দ্র পাল,পরিদর্শক বাবুল আক্তার, ডিবির এস আই মনিরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় কদম তলা বাজার, বিনেরপোতা মোড়, লাবসা পলিটেকনিক মোড় ও বাঁকাল বাইপাস সড়কে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে মটর সাইকেলের পেপার্স ঠিকঠাক না থাকায় কয়েকটি গাড়ি জব্দ করা হয়। এছাড়া যাদের ডি/এল নেই, ইন্সুইরেন্স নেই, হেলমেট নেই তাদের নামে সড়ক পরিবহন নতুন আইনে মামলা করা হয় বেশ কয়েকজন কে।অভিযানে অপ্রয়োজনীয় চলাচল করায় প্রত্যেকটি পথচারী কে পুলিশের জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয়।
সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ও পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ বলেন,সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার),এঁর দিকনির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলার আটটি থানায় অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশ চেকপোষ্ট স্থাপন এবং জেলার গুরুত্বপূর্ন স্থান সমূহে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এসময় তিনি সবাইকে সরকারের নির্দেশনা মেনে করোনা প্রতিরোধে ঘরে থাকার আহবান জানান।
উল্লেখ্য পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার ১৭৯। এর মধ্যে ডিউটিরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫২ জন। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এসব পুলিশ সদস্যকে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায়ও দায়িত্ব পালন করতে হয়।