কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকেদের এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর লক্ষ্য রেখে পরে যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে হয়, সেজন্য এবার আগেই সভা করেছি। ঈদের বন্ধের সময় সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জোরদার ব্যবস্থা রাখা হবে। চুরি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারিসহ পুলিশ-র‌্যাবের টহল বাড়ানো হবে।

তিনি আরও বলেন, স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। করোনা বিবেচনায় অনলাইন কেনাকাটায় উৎসাহ দেয়া হবে। অস্থায়ী পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হবে। জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন থাকবে পশুর হাটে। এছাড়া অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি যাতে না আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

ঈদের সময় ব্যবসায়ীদের টাকা পরিবহনের জন্য পুলিশ সহযোগিতা করবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, যানজট নিরসনে আনসার মোতায়েন করা হবে। যানজটপ্রবণ স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। যেসব জায়গায় বেশি যানজট হয় যেমন- টঙ্গী থেকে গাজীপুরের রাস্তা এবং যমুনা ব্রিজের ওখানে যানজট কমাতে সড়ক পরিবহন বিভাগকে অনুরোধ করেছি।

‘কোরবানির পশু পরিবহনের ট্রাক ও নৌযানে চাঁদাবাজি বন্ধে নজরদারি থাকবে। পশু বোঝাই যান জোরপূর্বক যেকোনো জায়গায় থামানো যাবে না। শিল্প এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেখানে নাশকতা বন্ধে গোয়েন্দা বাহিনী সজাগ থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেরিঘাটে যাতে যানজট না হয় সেজন্য প্রস্তুতি নেয়া হবে, নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না। চামড়া কেনাবেচনার সিন্ডিকেট রোধে ঈদের আগে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়া হবে। চামড়া পাচার রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের সময় নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ানো বন্ধ করতে বা ভেজালরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। ঈদের সময় সড়ক, মহাসড়কসহ যেকোনো জায়গায় দুর্ঘটনা বন্ধে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও কুইক রেন্সপন্স টিম প্রস্তুত থাকবে।’

গার্মেন্টসহ সব শিল্প কারখানার বেতন নির্দিষ্ট সময় দেয়ার জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারাও নিশ্চয়তা দিয়েছেন সময় মতো শ্রমিকদের বেতন দেবেন। একই সঙ্গে ঈদ উদযাপনে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ যেসব নির্দেশনা দিয়েছে বা দেবে তা মেনে চলার অনুরোধ করা হলো।

এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পশুর হাটে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মহামারি চলছে। যেসব গরু ব্যবসায়ী আসবেন তারা যেন স্বাস্থ্যসম্মতভাবে আসেন সে বিষয়ে আমরা নজর রাখব।

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন এবার হাট নিয়ন্ত্রণ করছে, অনেক হাট বন্ধ করে দিয়েছে। এবার ঢাকায় যত্রতত্র হাট বসতে দেয়া হবে না।

 

আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন,বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার ,ডিএমপি কমিশনার মোহা শফিকুল ইসলাম,ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো: হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ও পুলিশের উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন