সাতক্ষীরা জেলায় মাদক উদ্ধারে শ্রেষ্ঠতা আর্জন করেছেন জেলার গোয়েন্দা পুলিশ।মঙ্গলবার জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় জেলার ভিতরে রেকর্ড ব্রেক মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক সংক্রান্ত আসামি গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের ইনচার্জ আলী আহমেদ হাশমী পুলিশ সুপারের নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেষ্ট পান।এছাড়া মাদক ও
অস্ত্র উদ্ধার, জঙ্গি দমন ও নাশকতা আসামি আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের সাব-ইন্সপরক্টর রবিণ চন্দ্র  মন্ডল জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকশ এসআই হিসাবে মাসিক অপরাধ সভায় সন্মাননা ক্রেষ্ট পেয়েছেন পুলিশ সুপারের নিকট থেকে।

সূত্র জানায়,সাতক্ষীরার ইতিহাসে যেকোন সময়ের চাইতে ২০১৮ সালে সব চাইতে বেশি মাদক, অস্ত্র ও জামাত শিবির নেতা আটক করতে সক্ষম হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় গত ৪ মে ২০১৮ তারিখ সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান ২০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ।আবার একই মাসের ১৮ তারিখে ২০৪ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই শিবির কর্মী কে আটক করে ডিবি পুলিশ।২৭ এপ্রিল অপর এক অভিযানে ৮৫০ পিস ইয়াবা সহ দুই মাদক সম্রাট কে আটক করে ডিবি পুলিশ।পরে ১৭ ই এপ্রিল ৪ কেজি গাঁজা সহ এক দম্পত্তিকে আটক করে ডিবি পুলিশ।এপ্রিলের ১৫ তারিখে তিনটি রামদা ও বিদেশি ছুরি সহ ডাকাতির চেষ্টাকালে কয়েকজন সন্ত্রাসী কে মাদবকাটি এলাকা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ ভোমরার পদ্মশাখরা থেকে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ তিন জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন ডিবি পুলিশ।তার আগের মাসে ১৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।একই মাসের ১৬ তারিখ ২০০ পিস ইয়াবা সহ মাদক সম্রাট কালাম কে আটক করে ডিবি পুলিশ।এছাড়া নভেম্বরের ৬ তারিখে জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সহ সভাপতিকে কলারোয়া থেকে অস্ত্র সহ আটক করেন ডিবি পুলিশ।পরে অক্টোবরের ২০ তারিখে প্রতিমা বিষর্জনের দিনে ৮০০ পিম ইয়াবা সহ দুই মাদক সম্রাট কে আটক করেন ডিবি পুলিশ।তার আগের মাসে সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে ৭০ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এভাবে একের পর এক অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ প্রায় জেলা থেকে মাদক শূন্যের কোঠায় আনার আপ্রাণ চেষ্টা করে ডাচ্ছে।আর এসব চাঞ্চল্যকর অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব আলী আহমেদ হাশমীর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর শাহরিয়ার হাসান,ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী,ইন্সপেক্টর হারান চন্দ্র পাল সহ গোয়েন্দা পুলিশের সকল সাব-ইন্সপেক্টর ও সহকারি সাব-ইন্সপেক্টর বৃন্দ।

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জনাব মো:সাজ্জাদুর রহমান (বিপিএম)।জেলা পুলিশের হেড কোয়াটার্স সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অপরাধ সভায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ,সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মেরিনা আক্তার,কালিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো:জামিরুল ইসলাম,তালা সার্ককেলের এডিশনাল এসপি অপু সরোয়ার,দেবহাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছীন আলী প্রমূখ।এছাড়াও অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সকল থানার ইনচার্জ গণ উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন