♣♣♣♣
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
ঢাকায় দু’জন শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করায় খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল সন্ধ্যায় খুলনা সার্কিট হাউজে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান। সভায় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনা সিটির নব নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর এবং খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাজহ উপস্থিত ছিলেন।মহানগরীর বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সংশি−ষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও ছাত্র নেতারা সভায় অংশ নেন।

সভায় জানানো হয়, ঢাকায় দু’জন শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নয় দফা দাবি ইতোমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত চালককে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নিহত দুই শিক্ষার্থীর বাবারাও শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সকল দাবি সরকার মেনে নেওয়ার পর আর আন্দোলনের কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না বলে সভায় আলোচনা করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারীরা আশা করেন যে, শিক্ষকরা উদ্যোগ নিলেই উদ্বুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে, এখন আর আন্দোলনের কোন যৌক্তিকতা নেই। সভায় সকলের আলোচনার প্রেক্ষিতে নিন্মোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা হয়:

১। শনিবার থেকেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা পৃথকভাবে শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন এবং তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবেন।

২। ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকরা যাতে গাড়ি চালাতে না পারে তার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্য বাড়ানো হবে,

৩। ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হবে,

৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করে এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা হবে,

৫। কোন স্বার্থন্বেষী মহল যাতে এই ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়ে স্যাবোটাজ ঘটাতে না পারে সেদিকে তীক্ষè নজর রাখা হবে,

৬। ছাত্রনেতাদের সাথে আলাপ আলোচনা অব্যহত রাখা হবে, গণমাধ্যম যেন যথাযথ ভূমিকা পালন করে, পরিবহন মালিক সমিতি ও চালক সমিতির সাথে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, কোন রকম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উদ্ভব হলে প্রশাসন কঠোর হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী পদক্ষেপ গ্রহণ করলো তা প্রতিদিন প্রতিবেদন আকারে জেলা প্রশাসককে অবহিত করবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন