খুলনায় ১৩ মামলার আসামি সুন্দরবনের দস্যু হালিম শিকারিকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি আপডেট সাতক্ষীরা ডটকমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে পাইকগাছা উপজেলার গড়াইখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হালিম শিকারি পাইকগাছা উপজেলার হোগলার চক গ্রামের ইয়াকুব্বর শিকারির ছেলে।
খুলনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ওয়াস) আব্দুর রশীদ জানান,খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ৯টার দিকে পাইকগাছা উপজেলার কুমখালী গ্রামের শিবসা নদীর পাড়ে অভিযান চালিয়ে বনদস্যু হালিম শিকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ জানান, হালিম শিকারিসহ বনদস্যুরা দীর্ঘদিন সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে মাছ শিকার করতে যাওয়া জেলে ও বাউয়ালীদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে চাঁদা আদায়, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
হালিম শিকারির সহযোগীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হালিম শিকারির বিরুদ্ধে হত্যা. ডাকাতি, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র-গুলি সংক্রান্ত ১৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।