নিয়মিত ৯৫৬তম দলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ওপর আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান আজ (রবিবার) দুপুরে খুলনা ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন বিন জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আলমগীর কবীর। প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা আলিয়া কালিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। স্বাগত বক্তৃতা করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক-কাম-মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল কাশেম মুহম্মদ মুজতবা।

অতিথিরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ইমামরা হলেন সমাজের নেতা, তাদের কথা মানুষ অনুসরণ করেন। নামাজের পূর্বে খু’দবায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ইমামদের কথা বলতে হবে। ইসলামের নীতি ও আদর্শ মোতাবেক আমরা চলতে পারি তা হলে জীবন আরো উন্নত হবে। এই প্রশিক্ষণ বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে এবং সমাজে তা প্রয়োগ করতে তাঁরা ইমামদের প্রতি আহবান জানান। ধর্মকে কেউ যেন অপব্যাখ্য দিয়ে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে ইমামদের দৃষ্টি রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, খুলনা ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৯৫ হাজার ইমামকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

পরে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। ৪৫ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে খুলনা বিভাগের ৮টি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ২টি জেলার মোট একশত ছয়জন জন ইমাম অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ১১ জন দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিকে সরকারি যাকাত ফান্ডের প্রায় ৮১ হাজার টাকার অনুদানের চেক প্রদান করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন