“এখনই সময় অঙ্গীকার করার” যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় আজ খুলনায় পালিত হয় বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষে স্কুল হেলথ ক্লিনিক চত্ত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, যক্ষ্মা এখন আর মারাত্মক রোগ নয়। যক্ষ্মা একটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য রোগ। নিয়মিত ঔষধ সেবন করলে এ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। যক্ষ্মা নির্মূলে জনসচেতনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। একটি গণমূখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এসকল পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল মানুষের দোরগোড়ায় অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। সেইলক্ষ্যে শহরের পাশাপশি সরকার গ্রামেরও উন্নয়ন করে যাচ্ছে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উপপরিচালক ডাঃ মোঃ সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ, যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল আজাদ এবং পিমে সিস্টারস এর প্রকল্প পরিচালক ডাঃ রবের্তা পিনোনে। সভা পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্য বিভাগ, সিভিল সার্জন অফিস, ব্রাকসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থা যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহিদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্কুল হেলথ ক্লিনিকে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে সরকারি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্র্যাক, কেসিসি, পিমে সিস্টারস, কেএমএসএস, নাটাব, পিকেএস ও দ্বীপশিখাসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধি এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন