‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, উন্নয়নের শপথ করি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো যথাযোগ্য মার্যাদায় খুলনার মহান মে দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর ও খুলনা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আজ (বুধবার) সকালে খুলনার বয়রাস্থ শ্রম অধিদপ্তর চত্ত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, পহেলা মে শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির দিন। এই সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ শ্রমিক বান্ধব সরকার। শ্রমিকদের প্রতি মালিকদেরও যতœবান হতে হবে। বন্ধ কলকারখানাগুলো ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার চালু করেছে। মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। তিনি বলেন, কোন সমস্যা থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। নিজেদের স্বার্থেই কলকারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে যাতে কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিবেশে সৃষ্টি না হয় সেদিকে মালিক-শ্রমিক উভয়কে সচেতন থাকতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের স্বার্থে ১৯৭২ সালে বহু কলকারখানা জাতীয়করণ করে গেছেন।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ৫৭ অসহায় শ্রমিকদের মাঝে প্রায় ৩৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন।

খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ইকবাল হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম। স্বাগত জানান খুলনা শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আলমগীর কবির বক্তৃতা করেন। মালিক প্রতিনিধিদের পক্ষে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শেখ মোঃ আব্দুল বাকী। শ্রমিক প্রতিনিধিদের পক্ষে বক্তৃতা করেন জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি বিএম জাফর এবং মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন খুলনা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম।

এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে খুলনা নিউমার্কেট চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শ্রম অধিদপ্তর চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিকের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করে। পরে বাংলাদেশ বেতার খুলনার শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন