খুলনার দৌলতপুরে একটি বালুর মাঠ থেকে মিরাজুল ইসলাম মারুফ (৩৪) নামের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি রিভলবার ও ৫৮পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে দৌলতপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত মারুফ দৌলতপুরের হোজি শহিদ হত্যা মামলার আসামি বলে জানা গেছে। নিহত মারুফ দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের আব্দুল গফ্ফার শেখের পুত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) দাবি করেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দৌলতপুর থানার কার্তিককূল এলাকার বালুর পাশের একটি গলির সড়ক থেকে মারুফের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কেএমপির মুখপাত্র সহকারী পুলিশ সুপার (এডিসি) সোনালী সেন বলেন, গতকাল রাতে মারুফের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার কাছে একটি পিস্তল ও কয়েকটি গুলি পাওয়া যায়। পুলিশ পরে লাশটি উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে, মারুফের কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক আহমেদ বলেন,প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে মারুফ নিহত হয়েছে বলে ধারণা করছি। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে কার্তিককুল এলাকা থেকে মারুফের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বুকে গুলি লেগেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলির খোসা ও ৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত মারুফ দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের গফফার শেখের ছেলে। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং চরমপন্থি দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক গাজী আবদুল হালিম ও দৌলতপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হুজি শহীদ হত্যা মামলাসহ অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: খুলনার কন্ঠ ডটকম।